কেমন চলছে অনুদানের ছবি

‘সূর্য দীঘল’ বাড়ি থেকে ‘মেঘমল্লার’ ব্যবসায় হিসাবের খাতায় প্রাপ্তিফল প্রায় শূন্য। গেলো সাড়ে তিন দশকে অনুদান শব্দটি যেন দানেরই সমার্থক হয়ে উঠেছে।

 

সরকারি অনুদান পাওয়া ছবি বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি দিলেও; শুধু গেরিলা ছাড়া ব্যবসা করেনি কোনোটি। প্রেক্ষাগৃহে বেশিরভাগ সিনেমাই টেকেনি সপ্তাহ দুয়েকও। চলচ্চিত্র গবেষক ও নির্মাতারা বলছেন, প্রায় ক্ষেত্রেই ছবি নির্মাণে অনুদান পেয়েছেন অনভিজ্ঞরা। এছাড়া শুধু স্ক্রিপ্ট দেখেই মূল্যায়ন হয়, সব কিছু।

 

ঢাকাই সিনেমার উন্নয়নে ১৯৭৯ সাল থেকে এইখাতে অজস্র টাকা ঢেলে আসছে সরকার। তবে এখন পর্যন্ত উদ্দেশ্য খুব একটা সফল নয়।

 

অভিযোগ আছে, ছবি নির্মাণে ক্ষমতাসীন দলের লবিংয়েই কেবল মেলে অনুদান। তবে একটি সিনেমা নির্মাণে ওই অর্থ পর্যাপ্ত নয়। ফলে নির্মাতাকে নামতে হয় প্রযোজকের সন্ধানে।

 

গেরিলার নির্মাতার মতে, এখন পর্যন্ত যে ৫৬টি সিনেমা তৈরি হয়েছে, তাতে বিষয়ের যেমন বৈচিত্র্য নেই। তেমনি উপস্থাপনাও নিম্নমানের। পুরো প্রক্রিয়াটিই পরিবর্তনের পরামর্শ তার।

 

আর চলচ্চিত্রের এই গবেষক বলছেন, অনুদান দেয়ার পাশাপাশি দেশজুড়ে প্রেক্ষাগৃহে ছবি প্রচারের উদ্যোগও নিতে হবে সরকারকে।

 

এ অবস্থা উত্তরণে, দেশসেরা অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ পরিচালকদের একটি প্যানেল করতে হবে। যারা তদারকি করবে অনুদানের সিনেমার। একই সাথে বাজারমূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে দিতে হবে অনুদান। এমনই পরামর্শ, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষকের।
Print
6997 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা

About admin

Close