খাইরুল ইসলাম ,কুষ্টিয়া
জন ডিউইর একটা উক্তি দিয়ে শুরু করা যাক। সময়ের প্রবহমানতার সাথে সঙ্গতি রেখে শিক্ষায় পরিবর্তন আনার অপরিহার্যতা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকেও যদি আমরা গতকালের মত করে শেখাই, তাহলে আমরা নিশ্চিতভাবেই শিশুর আগামী দিনকে হরণ করবো। ডিউইর ভাবনাকে মাথায় রেখে জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া জনাব, সৈয়দ বেলাল হোসেন উপলব্ধি করেন যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ আজকের বৈশ্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। যেহেতু পরিবর্তনশীল সমাজের চাহিদা পূরণের উপযোগী নাগরিক গড়ে তোলার কাজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপরই বর্তায় তাই বিশ্বায়নের এই যুগে দ্রুত বিকাশমান সমাজে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাও প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। সে বিবেচনায় ২১ শতকের নাগরিক তৈরির উপযোগী ২১ শতকের বিদ্যালয় তৈরি ও পাঠদান করা অপরিহার্য।
কুষ্টিয়া জেলার বিদ্যালয়গুলোর লেখাপড়ার গুণগত মান ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া মহোদয় প্রায়ই আকস্মিকভাবে জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন । উল্লেখ্য যে, শুধু বিদ্যালয় পরিদর্শনই নয় শিক্ষার্থীর আসনে বসে রীতিমতো কর্তব্যরত শিক্ষকের পাঠদান উপভোগ করে থাকেন। এছাড়াও তিনি জেলার প্রতিটি উপজেলা নির্বাহি অফিসারগণদেরকেও সাপ্তাহিক একদিন স্ব স্ব উপজেলাধীন বিদ্যালয় পরিদর্শন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া মহোদয় মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন যে, আজকের শিক্ষার্থীকে যদি না সুষ্ঠু, বিজ্ঞানভিত্তিক ও যুক্তিপূর্ণ শিক্ষাদান পদ্ধতির সাথে পরিচয় না করিয়ে দেয়া হয় তাহলে বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা ভিশন- ২০২১ রূপকল্প বাস্তবায়ন একেবারেই অসম্ভব। আমার এই পোস্টটি জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া মহোদয়ের বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শনের একটি খণ্ডচিত্রমাত্র ।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীর আসনে!
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীর আসনে!
2490 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা