ঝিনাইদহে হরণিাকুন্ডুর নারায়নকান্দি সৌদি খেজুরের গ্রাম

আতিকুর রহমান টুটুল, ঝিনাইদহ থেকেঃ
হরিণাকুন্ডুর নারায়নকান্দি এখন জেলাবাসির কাছে সৌদি খেজুরের গ্রাম বলে পরিচিত। বানিজ্যিক ভাবে খেজুর উৎপাদন না হলেও মাঠের পর মাঠ বালুময় জমিতে সৌদি খেজুরের গাছ শোভা পাচ্ছে। গত দুই বছর ধরে গাছে ফুল আসলেও কৃষকদের অনভিজ্ঞতা আর পরিচর্চার অভাবে চুরমি ঝরে যাচ্ছে। ঝিনাইদহ বনবিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালে সরকারের জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার নারায়নকান্দি গ্রামে সৌদি খেজুরের চারা রোপন করা হয়।সদর উপজেলার মীর্জাপুর ও কুলবাড়িয়া গ্রামের মাঠেও এই প্রকল্পের আওতায় সৌদি খেজুরের চারা রোপন করা হয়। সরকারী ভাবে দুই বছর পরিচর্চা শেষে কৃষকদের কাছে খেজুর বাগান হস্তান্তর করে বন বিভাগ। প্রকল্পকালীন সময়ে দায়িত্বরত ঝিনাইদহ জেলা ফরেস্ট অফিসার গিয়াস উদ্দীন মুকুল জানান, ঝিনাইদহ বনবিভাগের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় জেলার পরিত্যক্ত ও বালু জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে সৌদি খেজুরের চারা রোপণ করে ভাল ফল পাওয়া গেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ও হরিণাকুন্ডু এলাকার পরিত্যাক্ত জমিতে তিন লাখেরও বেশি সৌদি ও দেশি খেজুরের চারা রোপণ করা হয়। এর মধ্যে হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের নারায়ণকান্দী গ্রামের বেলের মাঠে সব থেকে বড় সৌদি খেজুরের বাগান করা হয়েছে। গিয়াস উদ্দীন মুকুল আরো জানান, নারায়ণকান্দি গ্রামের দবির উদ্দীন, আব্দুল লতিফ, আব্দুল বারী, আবু বিন আদম, কাজী খায়রুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, মজিবর বিশ্বাস, মুক্তার আলী বিশ্বাস, আব্দুর রশিদ, কাজী রবিউল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন ও আমির আলীসহ এলাকার ৪৮ জন কৃষকের ৫০ বিঘা জমিতে সৌদি খেজুরের বাগান করা হয়। সৌদি খেজুরের সবচে বড় বাগানের মালিক নারায়নকান্দি গ্রামের দবির উদ্দীন জানান, গাছ রোপনের তের বছর পর ২০১৪ সালে গাছে চুরমি (স্থানীয় ভাষায় চোমর বলে) আসে। ওই বছর কিছু বুঝে ওঠার আগেই চুরমিগুলো ঝরে যায়। তিনি আরো জানান, এ বছর ৭০/৮০টি গ্রামে চুরমি আসলেও মাত্র দুইটি গাছে খেজুর ধরেছে। তিনি শুষ্ক মৌসুমে নিয়মিত সেচ দিয়ে খেজুর গাছগুলো তরতাজা করে তুলেছেন বলেও জানান। তাবে দবিরের মতো নারায়নকান্দি গ্রামের আর কোন কৃষক সৌদি খেজুর বাগানের পরির্চাচা করেন না বলে জানা গেছে। একই গ্রামের আব্দুস সালাম অভিযোগ করেন, গ্রামের কিছু অসাধু মানুষ সৌদি খেজুর গাছের পাতা কেটে নিয়ে যায়। এ জন্য কিছু বাগান দুর্বল হয়ে গেছে। এদিকে মাত্র একটি গাছে খেজুর আসা নিয়ে গোটা নারায়নকান্দি গ্রাম এখন উচ্ছাসিত। সুদুর সৌদি আরবের খেজুর এখন তাদের নাগালে বলেও মনে করেন নারায়নকান্দি গ্রামের ওষুধ ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান। এদিকে চৌদ্দ বছরের বেশি সময় পার হলেও পরিচর্চা আর যতেœ অভাবে খেজুর ধরছে না বলে মনে করেন কৃষিবিদরা। তাদের ভাষ্য বাগান মালিকরা সচেতন আর ব্যবসায়ীক স্বার্থ বুঝলে এক সময় খেজুরের বানিজ্যিক চাষ হবে নারায়নকান্দি গ্রাম থেকে। সৌদি আরবে খেজুর গাছ থেকে রস আহরণ না করা হলেও বাংলাদেশে রোপিত গাছ থেকে খেজুরের পাশাপাশি রস ও গুড় উৎপাদন করা যাবে বলে বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানান। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি একাধিকবার হরিণাকুন্ডু উপজেলার নারায়নকান্দি গ্রামের সৌদি খেজুরের বাগান পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন যতেœর অভাবে খেজুর গাছগুলোতে বিলম্বে ফল আসছে। যতœ ও পরিচর্চায় এক সময় নারায়নকান্দি গ্রামে সোনা ফলবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। খেজুর গাছের যতেœ কৃষকদের এখন কি কি করণীয় সে সম্পর্কে তাদের টিপস দিয়েছেন বলে জানান। ঝিনাইদহের কৃষিবিদ ড. মনিরুজ্জামান জানান, সৌদি খেজুর গাছের পরাগায়ন পোকা মাকড়, মৌমাছি বা বাতাসের মাধ্যমে খুব কম হয়ে থাকে। হাত দিয়ে বা মেকানিক্যাল পদ্ধতিতে পরাগায়ন করতে হয়, যা হয়তো নারায়নকান্দির বাগান মালিকরা জানেন না। তিনি বলেন, বাগানে একশ স্ত্রী গাছের সঙ্গে মাত্র একটি পুরুষ গাছের পরাগরেনু পাউডার দিয়ে স্ত্রী গাছের পুস্পমঞ্জুরীতে ২/৩ বার লাগিয়ে পরাগায়ন করা যায়। পুরুষ গাছের পাউডার ফ্রিজে ২/৩ বছর পর্যন্ত সংরক্ষন করে ব্যবহার করা যায়। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা বণ কর্মকর্তা অনিতা মন্ডল জানান, তারা বাগান মালিকদের চাষ ও যতœ করার বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছেন। এখন নিয়মিত পরিচর্চা করলে তারা ভাল ফল পেতে পারেন।

ঝিনাইদহের কালিগঞ্জে ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদন্ড
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। বুধবার পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কালীগঞ্জ শহরের কাশিপুর বেদে পল্লীতে অভিযান চালায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয় এবং তাদের উপর হামলা করতে উদ্যত হয়। পরে আটকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মানোয়ার হোসেন মোল্লা। কালীগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, মাদকদ্রব্য বিক্রির গোপন খবর পেয়ে ঝিনাইদহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শন মোশাররফ হোসেন ও কালীগঞ্জ থানার অফিসার-ইন-চার্জ (চলতি দায়িত্ব) ইউনুস আলী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানোয়ার হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শহরের কাশিপুর বেদে পল্লীতে অভিযান চালান। এ সময় ওই পল্লীর সেলিমের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়ে তাদের উপর হামলা করতে উদ্যত হয়।

Arrest Pic in Kaligonj

এক পর্যায়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ যেয়ে সেখান থেকে ৬ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছে মাদক স¤্রাট কাশিপুর বেদেপাড়ার মাদক স¤্রাট শামছুল হকের ছেলে সেলিম (৩৬), একই এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), আব্দুল খালেকের ছেলে ইসমাইল (৩৫), কাশিপুর মন্ডল পাড়ার সিদ্দিক আলী ছেলে ইলিয়াস (২৪) একই পাড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে হাফিজুর রহমান (২৪) ও রোকনপুর গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২১)। এ সময় সেখান থেকে ২৬ পুরিয়া গাজা, গাজা কাটারী, ১৩২ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে সেখানে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মানোয়ার হোসেন মোল্লা মাদক স¤্রাট সেলিমকে এক বছরের কারাদন্ড ও বাকি ৫ জনের প্রত্যকে ৬ মাসের করে সাজা প্রদান করেন। ভ্রাম্যমান আদালতে বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মানোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, মাদকদ্রব্য বিক্রির সময় হাতে নাতে ধরা পড়ার পর মোবাইল কোর্টে সেলিম নামের একজনকে ১ বছরের ও বাকি ৫ জনকে ৬ মাস করে সাজা দেয়া হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার অফিসার-ইন-চার্জ (চলতি দায়িত্ব) ইউনুচ আলী জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সেখানে অভিযান চালান। এ সময় তাদের উপর তাদের মাদকব্যবসায়ীরা উপর চড়াও হলে থানা থেকে পুলিশ যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং সেখানে মোবাইল কোটে ৬ মাদক ব্যবসায়ীর কারাদন্ড দেয়া হয়।
ঝিনাইদহে পুলিশি অব্যহত অভিযানে
২৭ জন আটক
ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। ঝিনাইদহ সহকারী পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান জানান, চলতি অভিযানে বিভিন্ন মামলায় হরিণাকুণ্ডু উপজেলা থেকে দুইজন, সদর থেকে ১০, শৈলকুপা থেকে তিনজন, কালীগঞ্জ থেকে ছয়, কোটচাঁদপুর থেকে চার ও মহেশপুর থেকে আরও দুইজন আসামিকে আটক করা হয়। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর হবে বলে জানান তিনি।

ঝিনাইদহে ঘরজামাই খুন, শ্যালক আটকস্টাফ রিপোটারঃ ঝিনাইদহ,
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে রাজিব হোসেন (২২) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। পুলিশ এ ঘটনায় তার শ্যালককে আটক করেছে।
রাজিব হোসেন (২২) যশোর সদর উপজেলার তেজরোল গ্রামের মুনসুর আলী বিশ্বাসের ছেলে। তিনি কালীগঞ্জের দামোদরপুর গ্রামের মৃত আদিল উদ্দিনের মেয়ে রিপা খাতুনকে বিয়ে করে ঘরজামাই থাকতেন। মুনসুর আলী বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার রাতে রিপা খাতুন ও তার ভাই তাজমিনুর রহমান মিলে রাজিবের অন্ডকোষ চেপে ধরে ও শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। পরে সংবাদ পেয়ে রাতে মুনসুর আলীর ছেলে রাজিবের লাশ বাড়িতে এনে থানায় সংবাদ দেন। মুনসুর আলী বিশ্বাসের অভিযোগ, রিপা খাতুন পরকীয়ায় জড়িত ছিল। এতে রাজিব বাধা দেওয়ায় সাংসারিক গোলযোগ সৃষ্টি হয়। এরপর পরিকল্পিতভাবে রাজিবকে খুন করা হয়।
যশোর কোতয়ালী থানার এসআই বিধান চন্দ্র বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্ত্রী রিপা খাতুনের ভাই তাজমিনুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর রাজিব খুন হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে
সুদখোর আব্দুস সামাদ আজাদের অত্যাচারে হরিণাকুন্ডুর মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া !!
জাহিদুর রহমান তারিক স্টাফ রিপোটারঃ ঝিনাইদহ,
সুদাসল দু‘ই দেয়, তবুও গ্রাহকের টাকা পরিশোধ হয় না। পাওনা থাকে বছরের পর বছর। চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়া সুদের খেসারত দিতে গিয়ে গ্রাহকের হারাতে হয় বসত ভিটা, নয়তো গোয়ালের গরু। শেষ সম্বল বিক্রি করে সুদের টাকা পরিশোধ করতে হয়। আর এভাবেই দিনের পর দিন কাবলিওয়ালাদের মতো সুদখোরদের অত্যাচার চলছে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকার রগোন সমবায় জোট নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে আব্দুস সামাদ আজাদ নামে এক প্রভাষক বছরের পর বছর চড়াসুদের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তার অবৈধ কর্মকান্ডে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আব্দুস সামাদ আজাদ হরিণাকুন্ডুর কাপাশহাটিয়ার হাজী আরশাদ আলী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক। একই উপজেলার ঘোরদাহ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে তিনি। গ্রামের সহজ সরল মানুষকে ঋনের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। সরেজমিনে হরিণাকুন্ডু উপজেলার শিতলী গ্রামে গিয়ে জানা গেছে ওই গ্রামের মতুরেশ কুমার পাচ বছর আগে সুদখোর আব্দুস সামাদ আজাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকার ঋন নেন। লাভসহ তাকে ৫৩ হাজার টাকা প্রদান করার পর একদিন আব্দুস সামাদ বলেন আপনাকে আরো ৩১ হাজার টাকা দিতে হবে। এই টাকা দিতে অস্বিকার করায় তিনি আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে আমার বাড়িতে চরমপন্থিদের পাঠিয়ে হত্যার হুমকী দেন। আমি নিজের জীবন ও মান সম্মানের ভয়ে আমার একটি গর্ভবতি গরু বিক্রি করে তাকে আরো ৩১ হাজার টাকা দিয়ে রক্ষা পায়। ৪০ হাজার টাকা নিয়ে হুমকী ধমকী দিয়ে সুদখোর আজাদ এভাবে আমার কাছ থেকে সর্বমোট ৮৪ হাজার টাকা আদায় করেন। হাজী আরশাদ আলী ডিগ্রী কলেজের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী ডাবলু মিয়া অভিযোগ করেন একই কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক আব্দুস সামাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে দুই দফায় ৩০ হাজার করে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। এই টাকা নিয়ম মাফিক আসল ও লাভসহ ১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি। এখন তিনি আমার কাছে নতুন করে ১ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা দাবি করছে। এই টাকা দিতে না চাওয়াই আমাকে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। এমনকি চাকরি কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। শিতলী গ্রামের রিপন নামে এক যুবক আব্দুস সামাদের রগোন সমবায় জোট থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ৪৫ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়। টাকা দিতে না পেরে রিপন এখন এলাকা ছাড়া। বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে মোতালেব হোসেনসহ সব শিক্ষক অবগত হলেও সুদখোর শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। এমনটি অধ্যক্ষ নিজেও এই সুদখোরের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিচার সালিশ করেছে। অভিযোগ উঠেছে আর্থিক লেদদেন করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি এবং সমাজসেবা থেকে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয়। কিন্তু সরকারের কোন অনুমতি ছাড়াই শিক্ষক আব্দুস সামাদ আজাদ তার বাড়িতে অবৈধ ভাবে এই জমপেশ সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। সারা জেলায় তার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। আছে লাঠিয়াল বাহিনী। ঝিনাইদহ শহরসহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে তার রমরমা সুদে ব্যবসা চলছে। এই সুদখোরের অত্যাচারে গ্রামের মানুষ আজ বিপন্ন। দায়ঘায়ের কারণে সুদের টাকা নিয়ে মানুষের এখন মরণ দশা। এ বিষয়ে হাজী আরশাদ আলী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও রগোন সমবায় জোটের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সামাদ সুদে কারবারের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি টাকা দিয়ে আসলসহ সামান্য লাভ নিয়েছি। তাদের প্রতি কোন জুলুৃম করা হয়নি। যে দুই জন অভিযোগ করেছেন, তারা আমার কলেজের কর্মচারী। তিনি বলেন এ নিয়ে আমার কলেজের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঝিনাইদহের ঐতিহ্যবাহি ফলিয়া সহদেব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোটারঃ ঝিনাইদহ,
ঝিনাইদহের ঐতিহ্যবাহি ফলিয়া সহদেব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল ৫টার সময় অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরনী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক প্রতি মন্ত্রি আব্দুল হাই এমপি । বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদদের কমান্ডার মকবুল , শৈলকুপা থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু ও সাবেক ছাত্র নেতা এড আসাদুজ্জামান। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ জোয়াদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় মানপত্র পাঠ করেন প্রধান শিক্ষক মানোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি এ সময় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া লেখার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি আরো আগ্রহী হওয়ার আহবান জানান।

Jhenaidah

জেলার শৈলকুপা উপজেলার দুধসর ইউনিয়নের কুঠি বাড়িতে ১৯২২ সালে বিদ্যালয়টি তৎকালীন বৃটিশ সরকার স্থাপন করে । এ অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান, শফিউদ্দিন ,নুরুল ইসলাম নাঠা সহ অনেকেই যোগ দেন । এর আগে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন বিভাগে ক্রীড়ায় অংশ গ্রহন করে । বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি ।

আওয়ামীগ নেতা গুরূতর আহত কিন্তু কেন?
স্টাফ রিপোটারঃ ঝিনাইদহ,
শনিবার সকাল ৭ টার দিকে মেীচাক ইউনিয়ন অফিসের সামনে ইক্ষু সমবায় সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক এবং আওয়ামীলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম আরূককে কোপানো হয়েছে এবং দুইপা এক হাত ভেঙ্গে দিয়েছে আওয়ামীগ ক্যাডাররা । বর্তমানে যশোর সদর হাসপাতালে গুরূতর অবস্থায় চিগিৎসা রত অবস্থায় আছেন ।

Kaligong

আওয়ামী ক্যাডার সমির, সুগার মিল ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক নাজমুল প্রমুখের নেতৃত্বে আরূককে হত্যার বৃথা চেষ্টা করা হয়েছিল। হাতুরি,দা এবং ইট দিয়ে আরূককে আহত করা হয় । সমির, নাজমুল সহ হামলার সাথে জড়িত সকলেএম,পি আনোয়ারূল আজীম আনারের লোক বলে জানা গেছে।এম,পি আনারের ভাগ্নে আশরাফের মতানুসারে সমির, নাজমুল রা চলাচল করেন বলে আরও জানা গেছে । সমির এবং নাজমুলের নেতৃত্বে বলিদাপাড়া, সুগার মিলে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী এবং টেন্ডারবাজী করার অভিযোগ আছে অনেক আগে থেকে। অতীত কি বলে, ২০১৩ সাল, ভূষণ স্কুলের তুচ্ছ একটি ঝামেলাকে কেন্দ্র করে বর্তমান এম,পি সাহেবের ভাইপো সাইমন বেশ কিছু বকে যাওয়া ছেলেদের নিয়ে মিলের ভিতর মারতে যায় মিলের একটি ছেলেকে। সেই ঝামেলা কয়েক মিনিটের ভিতর সাবেক এম,পি এবং বর্তমান এম,পি এর ভাইপোদের ভিতর তর্কাতর্কিতে রূপ নেয়। সাইমন তখন মিলের ভিতরে এক জনকে আঘাত এবং সুগার মিল পুড়িয়ে দেওয়ার স্লোগানে মিলের ভিতর ঝামেলা শুরূ করে। বলিদাপাড়ার ছেলেরা সহ মুরব্বিবা ক্ষিপ্ত হয়ে পাল্টা আঘাত করে। সাইমনকে বেশ মারধরও করে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আনার সাহেবের পি,এস রউফ এবং কালীগঞ্জের মুখোশধারী শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী, এম,পি গ্রুপের পালিত ক্যাডারের নেতৃত্বে অস্ত্র সজ্জিত অবস্থায় মিলের ভিতর যেয়ে বাড়তি ক্ষমতা প্রয়োগ করা শুরূ করে। এতে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বলিদাপাড়ার এক মুরব্বি রউফকে ধাক্কাধাক্কি সহ শিবলীকে কয়েকটি লাঠি দিয়েও আঘাত করে। অবস্থা বেগতিক দেখে এলাকাবাসীর কাছে হাতজোর করে মাফ চায় এবং এম,পি সাহেবের ভাগ্নে আশরাফ প্রচুর অনুরোধ করার পরও তাদেরকে আটকে রাখে। আহত আরূক আশরাফ,রউফ,শিবলীর অনুরোধ, ক্ষমা প্রত্যাখান করে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে তাদেরকে আটকে রাখে। পরবর্তীতে আনোয়ারূল আজীম আনারের হস্তক্ষেপে সবাইকে মুক্তি দেওয়া হয়। দুটি ঘটনার মাঝে অনেক পার্থক্য কিন্তু পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
ঝিনাইদহে বাবার সঙ্গে অভিমান করে ছেেলর আত্মহত্যা 

স্টাফ রিপোটারঃ ঝিনাইদহ,
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামে বাবার সঙ্গে অভিমান করে মানিক হোসেন (১৪) নামের এক কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত কিশোর ওই গ্রামের বশির উদ্দিন ম-লের ছেলে।
এলাকবাসী জানায়, বাড়িতে কাজ করাকে কেন্দ্র করে সকালে বাবা বশির উদ্দিন মানিককে বকাবকি করে। এতে বাবার ওপর অভিমান করে মানিক হোসেন নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার করে। পরে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপুর্ব কুমারকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

Print
4553 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা

About jexpress

Close