যে কারণে জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া জনাব, সৈয়দ বেলাল হোসেন অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাগণের জন্য গর্ব ও অনুকরণীয়

খাইরুল ইসলাম ,কুষ্টিয়া                                                                  শতবর্ষী আদিবাসী লক্ষ্মী রাণী ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনধারণ করছিলেন। তার
ইচ্ছা ছিল একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড পেলে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিবেন। এই
বিষয়কে কেন্দ্র করে ডিসি অফিস ফেইসবুক পেইজের একজন সম্মানিত ও সচেতন
ইউজার জনাব, মিতুল করিম ডিসি অফিস ফেইসবুক পেইজে একটি পোস্ট প্রদান করেন।
পোস্টটি দেখার সাথে সাথে জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া জনাব, সৈয়দ বেলাল হোসেন
ঐ পোস্টে একটি কমেন্টস করেন যে, ”First of all we enquiry the matter why
Social welfare department did not give her the Card. Next of course we
should provide a card for her. I give the order by this message to UNO
Kumarkhali to issue a card for this old aged woman by 7 days & inform
me. I repeat my commitment to this old aged woman just like my beloved
mother.”
সুপ্রিয় পাঠক, শতবর্ষী আদিবাসী লক্ষ্মী রাণী ভিক্ষুক মহিলাকে জেলা
প্রশাসক, কুষ্টিয়া মহোদয় তাঁর নিজের মমতাময়ী মায়ের সাথে তুলনা করে সাত
দিনের মধ্যে নিজ হাতে ঐ ভিক্ষুক মহিলার হাতে বয়স্ক ভাতার কার্ড ও একটি
শীতবস্ত্র তুলে দেন এবং শত শত মানুষের সামনে ‘মা ‘ বলে তাকে সম্বোধন করে
ঐতিহাসিক দৃশ্যের অবতারণা ঘটিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে তাকে নিষ্কৃতি
দিয়েছেন।

1487998_10152818185517158_1763412290653184524_oজেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া জনাব, সৈয়দ বেলাল হোসেন জানতে পারেন যে কুষ্টিয়া
জেলার সুইপার কলোনির হরিজন সম্প্রদায়ের তিন মেয়ে যথাক্রমে, ঝিনুক রাণী
বিশ্বাস, প্রতিমা রাণী বিশ্বাস এবং প্রিয়া রাণী বিশ্বাস শত বাধা পেরিয়ে
২০১৪ সালে এস এস সি পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়। ঐ তিন মেয়েকে
জেলা প্রশাসন, কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে ডেকে পাঠানো হয়। ওরা যখন জেলা প্রশাসক
মহোদয়ের কক্ষে প্রবেশ করছিল তখন ওরা নিজেদের পায়ের জুতা খুলছিল বিষয়টি
জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টিগোচরীভূত হওয়ার সাথে সাথে জেলা প্রশাসক মহোদয়
ওদের উদ্দেশ্যে বলেন, ” তোমাদের জুতা খোলা লাগবে না। তোমরাও মানুষ, আমিও
মানুষ। তোমরা আমার মেয়ের মত।” জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মুখ থেকে কথাগুলো
শোনার সাথে সাথে প্রতিমা রাণী বিশ্বাস আবেগাপ্লুত হয়ে বলে যে, ” স্যার,
সমাজে অবহেলিতদের একটু সহযোগিতা ও ভালোবাসলে যে কেউ যে কোন স্থান থেকে
উঠে আসতে পারে।”

উল্লেখ্য যে, ঐ দিন জেলা প্রশাসক মহোদয় ওদেরকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের
সনদ, একাদশ শ্রেণীর একসেট করে বই, পূজা উপলক্ষ্যে একসেট করে নতুন জামা,
কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে প্রতিমাসে ১,০০০ টাকা বৃত্তি প্রদান সহ
পড়াশোনা শেষে ওদের চাকরি প্রদানেরও পূর্ণ নিশ্চয়তা দেন।
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, উক্ত দুটি ঘটনা থেকে জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া জনাব,
সৈয়দ বেলাল হোসেন মহোদয়ের সমাজের অতি সাধারন মানুষের প্রতি যে ভালোবাসা ও
গভীর মমত্ববোধ প্রকাশ পেয়েছে এথেকে অবশ্যই অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাগণের
অনেককিছু শেখার আছে বলে আমি দৃঢ় বিশ্বাস করি।

Print
2912 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা

About jexpress

Close