ষড়যন্ত্র করে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। ষড়যন্ত্র না করলে নিজেরাই মূল্যায়িত হতেন -খন্দকার তারেক রায়হান

স্মৃতি বড় মধুর স্মৃতি বড় বেদনার

রাজনীতিতে শেষ বলতে কিছুই নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্মেলনের পরেও সাংগঠনিক প্রয়োজনে নতুন নতুন পদ দিয়ে কমিটির পরিধিকে বৃদ্ধি করে। তেমনি যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন করে থাকে। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ ছাত্র সমাজের প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সময়ের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের কমিটির পরিধি বৃদ্ধি ও পদোন্নতি স্বাভাবিক বিষয়। বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের প্রত্যক্ষ ভোটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম নির্বাচিত হওয়ার পর দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করে। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতা তাদের পারিবারিক প্রয়োজনে সরকারি চাকুরি, বেসরকারি চাকুরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলে যাওয়ায় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদ শূণ্য হয়ে যায়। তার অংশ হিসেবে প্রথমে ৬ জনকে এবং পরবর্তীতে আমি একজনসহ ৭জনকে সহ-সভাপতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ ছাত্র সমাজের প্রাণের স্পন্দন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া রূপসা থেকে পাথুরিয়া সারা বাংলার ছাত্র সমাজের অভিভাবক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সংগ্রামী সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তরে বসে আমাকে উপ দপ্তর সম্পাদক থেকে পদোন্নতি দিয়ে সহ-সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করায় আমি সারা জীবনের জন্য তাদের কাছে চির ঋণী হয়ে গেলাম। একটি কথা মনে রাখতে হবে ষড়যন্ত্র করে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। ষড়যন্ত্র না করলে নিজেরাই মূল্যায়িত হতেন। দক্ষিন এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হলে অনেকে অনেক কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তা না শুনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদেরকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে । আমাকে উপ দপ্তর সম্পাদক থেকে সহ-সভাপতি পদোন্নতি করার লিখিত কপিটি নিম্নোক্ত দিতে বাধ্য হলাম।

bslbd_nঅনেকে ভুলে আগের পোষ্ট টি লিখে ফেলে বা বলে। এতে আমি ব্যথিত হই না। কারণ আমি দীর্ঘদিন উপ দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ অফিসকে আলোকিত করতে নিজের সর্বোচ্চ রক্ত বিন্দু দিয়ে শেষ চেষ্টা করে গিয়েছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের নির্দেশে কেন্দ্রীয় দপ্তরে দায়িত্ব পালনের সুবাধে সারা বাংলার প্রতিটি জেলার সাথে যোগাযোগ করতে হয়েছে (বিভিন্ন প্রোগ্রামের ম্যাসেজ পৌঁছে দিতে হয়েছে) এবং বাংলাদেশের জাতীয় ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে সব সময় যোগাযোগ করতে হয়েছে। 11141347_769856356446967_8034023562414874529_n

এই জন্য এই পোস্টটি সবার কাছে খুব বেশি পপুলার ছিল। এখন বুঝতে পারছি সহ-সভাপতির কোন কাজই নেই। তবেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সংগ্রামী দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তার জন্য শুভ কামনা। শেখ রাসেলের সাথে একসাথে সুখে দুঃখে, সকালে বিকালে, রাতে অনেক কাজ করেছি। তার পরিশ্রম বৃথা যাবে না।  জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু

খন্দকার তারেক রায়হান ,

বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি

Print
2473 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা

About jexpress

Close