হরিণাকুন্ডুতে লালন শাহ ও সিরাজ সাঁইয়ের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার দাবীতে মানববন্ধন

আতিকুর রহমান টুটুল,ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি ঃ
বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ ও তার গুরু সিরাজ সাঁইয়ের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার দাবীতে শুক্রবার বিকালে লালন শাহ এর জন্ম ভিটা হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামে এক মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়। লালন শাহ ও সিরাজ সাঁইয়ের পরিবারের পক্ষে এলাকাবাসি এই মানবন্ধন কর্মসুচির আয়োজন করে। মানববন্ধন কর্মসুচি শেষে এক সমাবেশ শিক্ষাবিদ ও হরিণাকুন্ডু সরকারী লালন শাহ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ খোন্দকার কেরামত আলীর সভাপতিত্বে হরিশপুর লালন একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব লালন সংঘের সেক্রেটারী জেনারেল মোঃ রফিকুল ইসলাম, লালন গবেষক ড. আমানুল¬াহ, ঝিনাইদহ থিয়েটারের সভাপতি একরামুল হক লিকু, ঝিনাইদহ বাউল সমিতির সেক্রেটারী আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, স্থানীয় চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা পলাশ, লালন একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দীন, সিরাজ সাঁইয়ের বংশধর মোঃ আব্দুল বারেক, লালন শ্হা এর বংশধর আব্দুর রহমান, দুদ্দু শাহ এর বংশধর মোশাররফ হোসেন ঝন্টু, লালনের অন্যতম শিষ্য ফকির মনিরুদ্দীন শাহ এর বংশধর খবির উদ্দীন মেম্বর ও সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিডিয়া কর্মী মাহবুব মোর্শেদ শাহিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তাগন বলেন, ফকির লালন শাহ হরিণাকুন্ডুর হরিশপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেছিলেন এটাই চীর সত্য। এই গ্রামে এখনো লালন পরিবার ও তার গুরু এবং ভাব শিষ্যদের আওলাদরা বসবাস করছেন। অথচ দিবালকের মতো চির সত্য বিষয়টি অনেকটা বিকৃত ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। বক্তগন অভিযোগ করেন, লালনকে নিয়ে প্রতিবেশি দেশ ভারত কল্প কাহিনীর মাধ্যমে সিনেমা তৈরী করে মিথ্যাচার করেছে। হরিণাকুন্ডুর মানুষ ছাড়া আর সে সময় এই মিথ্যা সিনেমার বিরুদ্ধে কেও প্রতিবাদ করেনি। আজ যারা কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়া নিয়ে বেশি মাতামাতি করছেন, তারা লালনের জন্ম ভিটা ও তার পরিবারের সদস্যদের কোন খোঁজই রাখেন না। তাই লালন শাহ ও সিরাজ সাঁইয়ের প্রকৃত ইতিহাস জানতে ও লিখতে হলে হরিশপুরে আসতে হবে। তার জন্ম ভিটা হরিশপুর ছাড়া লালনের ইতিহাস হবে মিথ্যায় ভরপুর। কারণ গোটা হরিশপুরে মাটি জুড়ে লালনের পদচিহ্ন জড়িয়ে। আর মাটিতে আছে লালণ ও তার গুরু সিরাজ সাঁইয়ের গন্ধ।

ঝিনাইদহের আসাদ ট্রাকসহ অপহৃত তিন দিনেও খোঁজ মেলেনি
আতিকুর রহমান টুটুল,ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি ঃ
ঝিনাইদহের ট্রাক ড্রাইভার আসাদুজ্জামান আসাদ (৪৩) কে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করেছে। বুধবার গভীর রাতে যশোর থেকে ঢাকা যাওয়ার পর তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ট্রাক ড্রাইভার আসাদ ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চনপুর উত্তরপাড়ার মৃত আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে। তিনি নিজের ট্রাক (ট্রাক নং ঝিনাইদহ-ট-০২-০০২৮) চালাতেনJhenidah-Driver-Asad-Picএদিকে তিন দিনেও আসাদকে খুজে না পেয়ে আসাদের পরিবারে নেমে এসেছে হতাশা। তার স্ত্রী, সন্তান ও ভায়েরা পথ চেয়ে আছেন। নিখোঁজ আসাদের বড় ভাই ঠিকাদার রেজাউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বুধবার রাতে যশোর থেকে ঢাকায় পৌছানোর পর আসাদের সঙ্গে পরিবারের কোন যোগাযোগ নেই। তার মোবাইলটিও বন্ধ রয়েছে। তিনি আরো জানান, ট্রাকের হেলপার খুলনার রুপসা এলাকার কাটাখালী এলাকার রনি বৃহস্পতিবার বিকালে ফোন করে জানায় মতিঝিল এলাকায় ট্রাক লোড করার সময় দুর্বৃত্তরা আসাদকে ট্রাকসহ অপহরণ করে নিয়ে গেছে। রণির আচরণও রহস্য জনক বলে আসাদের পরিবার জানায়। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় শুক্রবার একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে বলে আসাদের বড় ভাই রেজাউল ইসলাম জানান। এদিকে হেলপার রণির সন্ধানে ঝিনাইদহ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার রুপসা থানা এলাকায় পৌচেছেন। রণিকে পুলিশ আটক করলে আসাদ অপহরণের তথ্য মিলতে পারে বলে শ্রকিদের একটি সুত্র মনে করে।

কোটচাঁদপুরে চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা
আতিকুর রহমান টুটুল,ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি ঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানাধীন কুশনা ইউনিয়নের জোলাপাড়ায় গরু চোর সন্দেহে আমিরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আমিরুল ইসলাম উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের নবিছ উদ্দিনের ছেলে। পুলিশ জানায়, রাতে আমিরুল ইসলামসহ আরও চার যুবক কুশনা ইউনিয়নের জোলাপাড়ার বেলা বিশ্বাসের বাড়িতে গরু চুরি করতে যায়। সে সময় ওই বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাদের ধাওয়া করে। তাদের শোরগোলে গ্রামের লোকজন ছুটে আসে এবং আমিরুল ইসলামকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমিরুলের মৃত্যু হয়। নিহত আমিরুল ইসলামের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান, কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহিন।

Print
3610 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা

About jexpress

Close