আতিকুর রহমান টুটুল, স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ শহরের হামদহ তিন নং ট্যাংকী পাড়ার বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম (২৯) নামে এক প্রকৌশলীর লাশ ঢাকায় উদ্ধার হয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে মঙ্গলবার ভোরে ঝিনাইদহে ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে। নিহত প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম শহরের হামদহ তিন নং ট্যাংকী পাড়ার মৃত সাবদার বিশ্বাসের ছেলে। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোরে তৌহিদুল ইসলাম সিঙ্গাপুর থেকে হযরত শাহজালাল (রঃ) বিমান বন্দরে নামেন। সেখান থেকে তিনি ট্যাক্সি যোগে গাবতলী আসার সময় সন্ত্রাসীদের কবলে পড়েন। এরপর সকালে প্রাতঃভ্রমনে বের হওয়া পথচারীরা বিমান বন্দর এলাকার রেল লাইনের ধারে একজন রক্তাক্ত মানুষকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর তিনি মৃত্যু বরণ করেন। সঙ্গে থাকা পাসপোর্ট দেখে নিহত ব্যক্তিটি ঝিনাইদহের তৌহিদুল ইসলাম এবং পেশায় শিপিং ডিজানাইনার বলে সনাক্ত করে পুলিশ। তৌহিদুলের একটি হাত ভাঙ্গা ছিল এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধারণা করছে তৌহিদুলের কাছে থাকা টাকা ও নববিবাহিতা স্ত্রীর জন্য আনা উপহার সামগ্রী ছিনতাই করার সময় তাকে উপর্যপরী আঘাত করা হয়। তবে পুলিশ তার ব্যবহৃত মোবাইল ও পাসপোর্টটি সঙ্গেই পেয়েছে। হত্যার প্রকৃত রহস্য নিয়ে পুলিশ ও তার পরিবার এখনো অন্ধকারে রয়েছে। তার ভাই ঝিনাইদহের গার্মেন্টস ব্যাবসায়ী শাহিনুল ইসলাম জানান, তৌহিদুল ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। এইচএসসি পাস করে তিনি বুয়েটে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেন। এরপর তিনি সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানীতে শিপিং ডিজানাইনার হিসেবে কর্ম শুরু করেন। গত মাসের ২ এপ্রিল তৌহিদুল যশোরের চৌগাছায় ব্যবসায়ী আলাউদ্দীনের মেয়ে জেসমিন আক্তারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এদিকে একজন মেধাবী ছাত্রের এমন মৃত্যুতে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ তিন নং ট্যাংকী পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার ও স্বজনদের পাশাপাশি পাড়া প্রতিবেশিরাও তৌহিদুলের এমন অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না। নববিবাহিতা স্ত্রী জেসমিন আক্তার স্বামীর শোকে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। কারণ তার হাতের মেহেদীর রং এখনো শুকায়নি।
ঝিনাইদহের মহেশপুরে মোবাইল কোর্টে পরিচালনাই ১৩ মাদক সেবীদের ৬মাসের জেল-জরিমানা প্রদান
আতিকুর রহমান টুটুল, স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে মহেশপুরে ১৩ মাদক সেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা দিয়েছে মোবাইল কোর্ট। সোমবার রাতে এ অভিযান চালানো হয়। দন্ডিতরা হলো-মহেশপুর উপজেলার আব্দুস সাত্তারের ছেলে সামাউল (৪৫), খুলনার কয়রা উপজেলার ফতেকাটি গ্রামের মোহাম্মদ সর্দারের আজিজুল হক (২৭), মহেশপুর উপজেলার পরামন্দপু গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে রিংকু (২৪), হাটখালিশপুরের মাইন উদ্দিনের ছেলে মেজবাউল (২৮), শ্যামল কুমারের ছেলে দয়াল (২৭), মকবুল হোসেনের ছেলে রোকন (৩৫), আব্দুল খালেকের ছেলে আবু তালেব (৫৫), গোয়াল হুদা গ্রামের ভাটাই শেখের ছেলে ঝন্টু (২৪), কন্ঠ কুমারের ছেলে পরিতোষ (৩০) ও নিরঞ্জনের ছেলে বিনয়। পুলিশ জানান, মাদক সেবন করা অবস্থায় মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) হাফিজ আল আদাস এর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন ১৯৯০ এর ৭ এর (ক) ধারা মোতাবেক প্রত্যেককে ৬ মাসকরে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদাণ করে। এছাড়া ঝিনাইদহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোশারফ হোসেন পুলিশ ও বিজিবি নিয়ে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে মহেশপুর উপজেলার লড়াই ঘাট গ্রামে অভিযান চালায়। সেসময় ওই গ্রামের আলী আজম খান এর ছেলে ফারুক খান (৫৫), চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর উপজেলার ধান্যখোলা গ্রামের মিজান মন্ডল (৪০) ও মহেশপুর উপজেলার সরতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৮) কে ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়। পরে মহেশপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাফিজ আল আসাদ এর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ১৯৯০ এর ৭ এর (ক) ও ৯ এর (ক) ধারা মোতাবেক ফারুক খান ও মিজান মন্ডলকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং নুরুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। মহেশপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাফিজ আল আসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঝিনাইদহ পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৮ জন আটক
আতিকুর রহমান টুটুল, স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ জেলার পাঁচটি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলাভূক্ত ২৮ আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। ঝিনাইদহ পুলিশ থানা সূত্রে জানাগেছে পুলিশ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে হরিণাকুন্ডু থেকে দুইজন, সদর থেকে নয়, শৈলকুপা থেকে দুই, কালীগঞ্জ থেকে দুই ও মহেশপুর থেকে তের জনকে গ্রেফতার করা হয়। আজ দুপুরের মধ্যে কোর্টের মাধ্যমে আটককৃদেরকে জেলহাজতে প্রেরন করা হবে।
মহেশপুরে বিজিবির ৪টি পৃথক অভিযানে একশ পাঁচ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার
আতিকুর রহমান টুটুল, স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : মঙ্গলবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের শ্রীনাথপুর বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ আবু খোরশেদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার লড়াইঘাট গ্রামের লড়াইঘাট মাঠ হতে ২৯ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে।এদিকে ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের বেনীপুর বিওপির টহল কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোঃ মোসলেম উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার নবদূর্গাপুর গ্রামের নবদূর্গাপুর মাঠ হতে ০৮ বোতল ভারতীয় মদ আটক করতে সক্ষম হয়। ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের শ্যামকুড় বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ আব্দুল মতিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার নওয়াপাড়া গ্রামের নওয়াপাড়া মাঠ হতে ৪৮ বোতল ভারতীয় মদ আটক করতে সক্ষম হয়। ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের বাঘাডাংগা বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ এসকেন্দার আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার খোশালপুর গ্রামের খোশালপুর মাঠ হতে ২০ বোতল ভারতীয় মদ আটক করতে সক্ষম হয়।
কালীগঞ্জ মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে যোগদান করেন নি , অফিস ফাঁকি দিয়ে ঝিনাইদহ শহরে রোগী দেখেন ডাঃ নিহার বালা
আতিকুর রহমান টুটুল, স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ: কালীগঞ্জ মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে যোগদান করেন নি ডাঃ নিহার বালা। তিনি শৈলকুপায়ও অফিস করেন না। অফিস ফাঁকি দিয়ে তিনি নিাইদহ শহরের সালেহা ক্লিনিকে চুটিয়ে রোগী দেখছেন। নানা অভিযোগের কারণে তাকে শৈলকুপা থেকে কালীগঞ্জ বদলী করা হলেও তিনি মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ থোড়াই কেয়ার করে চলেছেন। এদিকে ডাঃ নিহার বালা কালীগঞ্জ মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে যোগদান না করায় সেখানকার চিকিৎসা ব্যাবস্থা ব্যহত হচ্ছে। গ্রাম থেকে আগত মা ও শিশুরা চিকিৎসা না পেয়ে চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সুরাইয়া নামে এক নারী অভিযোগ করেন ডাক্তার না আসায় তারা ঠিক মতো চিকিৎসা পান না। অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতার দাপট ও নানা ধরণের দুর্নীতির কারণে ডাঃ নিহার বালাকে গত জানুয়ারী মাসে কালীগঞ্জ মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে বদলী করা হয়। কিন্তু অদ্যবদি তিনি কালীগঞ্জে যোগদান করেননি। তিনি অফিস সময়ে ঝিনাইদহ শহরের সালেহা ক্লিনিকে রোগী দেখেন বলে প্রচার মাইক সুত্রে জানা গেছে। মাইকে ঘোষনা করা হয় এফসিপিএস চিকিৎসক ডাঃ নিহার বালা প্রতিদিন সালেহা ক্লিনিকে রোগী দেখছেন। তবে মাঝে মধ্যে তিনি শৈলকুপা অফিসে ঢু মেরে আসেন এবং মাসে মাসে বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। বিষয়টি নিয়ে হেড অফিসকে অবগত করানো হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ডাঃ নিহার বালা পেশী শক্তি ব্যবহার করে শৈলকুপায় টিকে থাকার জন্য চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে ডাঃ নিহার বালার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অফিস সময়ে রোগী দেখার কথা অস্বীকার করেন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ জাহিদ আহমেদ জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর খাদ্য গুদামে চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন
আতিকুর রহমান টুটুল, স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ :ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খাদ্য গুদামে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ইরি-বোরো-২০১৫ চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। সদর উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মিনারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুল আলীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ হাসান মিয়া ও কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক মোঃ মোজাম্মেল হক। উল্লেখ্য সরকার চলতি মৌসুমে সদর উপজেলায় মিলারদের নিকট থেকে ৬ হাজার ৫শ ৩৩ মেট্রিক টন চাল ৩২টাকা কেজি দরে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। জোহান এগ্রো ফুড লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছ থেকে চাল কিনে চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়।