ধসলো সুন্দরবন হোটেলের একাংশ

ঢাকা: সুন্দরবন হোটেলের বেইজমেন্টের একটি অংশ ধসের ঘটনায় আশপাশ এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।স্বস্তিতে নেই হোটেল কৃর্তপক্ষও। এই অবস্থায় ঘুরেফিরে সামনে আসছে, এই ঘটনার জন্য কে বা কারা দায়ী?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজউকের উদাসীনতা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দূরদর্শিতার অভাব এ জন্য দায়ী। একই অভিযোগ করেছেন এলাকার লোকজনও। তবে দুর্ঘটনা এড়াতে নিজেদের জানাশোনার মধ্যে সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিলো বলে দাবি নির্মাণাধীন ভবনের প্রকল্প পরিচালকের।

নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের গর্তে ধসে পড়া গলিপথটি ব্যবহৃত হত পান্থপথ-বীর উত্তম সিআর দত্ত সড়কের লিংক রোড হিসেবে। সড়কের নিচে ছিলো সিটি কর্পোরেশনের পাইপের লাইন। বুধবার সকালে হঠাৎই সড়কের একাংশ ধ্বসে পড়লে লাইনের পানি অনবরত গড়িয়ে পড়তে দেখা যায় পাইলিংয়ের গর্তে। বছরখানেক আগে ভবনটির নির্মাণকাজ শুরুর পর বেশ কয়েকবার রাস্তাটির ওই অংশে ভাঙন দেখা দেয় জানিয়ে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন, বিষয়টি জানান পরও গুরুত্ব দেননি ভবনের মালিকপক্ষ।

স্থানীয়রা জানান, এখানে প্রায়ই রাস্তায় ফাটল দেখা দিতো ও দেবে যেতো। আবার মেরামত করা হতো।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে বিশেষজ্ঞরাও জানান, অন্যান্য পাশের চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো নির্মাণাধীন ভবনের পশ্চিম অংশ। কেননা, সড়ক ছাড়াও ওই অংশেই অবস্থিত বহুতল বিশিষ্ট একাধিক ভবন। নির্মাণকাজ শুরুর আগে পরিকল্পিতভাবে ঝুঁকি এড়ানো গেলে দুর্ঘটনাটি এড়ানো যেতো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ না দেখানোয় রাজউককে দুষলেন তারা।

স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ‘এ ঘটনাগুলো আমাদের দুটি দুর্বল দিক আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। প্রথমত, নির্মাণকালীন সময়ে কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু তদারকির অভাব। অপরদিকে নির্মাণ কাজের সময় কঠোরভাবে নজর রাখা। ‘

এদিকে, সুয়ারেজ পাইপের কারণে ধসের ঘটনাটি ঘটতে পারে- এমন অভিযোগ করলেও পাইপ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না বলে জানান নির্মাণাধীন ভবনের প্রকল্প পরিচালক।

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড টুইন টাওয়ারের প্রকল্প পরিচালক আখতারুল আলম জানান, ‘নির্মাণাধীন ভবনের নিচে সুয়ারেজের পানির লাইন ছিলো তা আমাদের জানা ছিলো না।  সব ধরণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এ নির্মাণকাজে। ‘

Print
1395 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা

About jexpress

Close