শরীরটা ছুরির কাছে দিয়ে // নিষিদ্ধ পুরুষ -আজাদ বঙ্গবাসী

শরীরটা ছুরির কাছে দিয়ে

মগজের দাবিতে আজ আদিপুরুষের জন্মান্ধ লাঠি
তিন হাত জায়গার চাইতেও বেশি দখলে চিৎকার
চোখের রঙটা সরালেই কি যে অনুসূচনা
সে শুধু শরীর চেরা অদৃশ্য বাউলই জানে
দীর্ঘ নিশ্বাসের কি যে মোহ, সে নাকি অনন্ত হবে
অথচ ডান বামের হাসি গুলো, মানুষের চোখ পোড়া
রূপগুলো,
খেজুর পাতার বাঁকা বনে কি নিরবেইনা করে গেল
প্রস্থান
শূন্যের ভেতর যে দারুণ ছবি তার পায় চোখের
নদীটা সপে, কাল থেকে তিন হাতের বেশি দাবি
করব না, শরীরটা ছুরির কাছে দিয়ে বলব, যেদিন
মাটির চিৎকারে আকাশটা কেপে ছিল, আজ সেই
দাম নাও
কে যেন ফের বাতাসের আঁচল কেটে রক্তের উল্লাসে
বসায়, পৃথিবীর সেই আদি ক্ষুধা।

||

নিষিদ্ধ পুরুষ

অতগুলো চোখ অন্ধকার বেঁধে
হাসির কি নিপুন ছুরিই না চালালে যৌবতী
আমার তখন মরণের ডাক বাইরেদাঁড়িয়ে ।
আরোও একটি প্রেমের বুক উসখুস করছে
গরম জলের অপেক্ষায়। নৈশ্বের নগরে নিশিদ্ধ পুরুষ
তবুও দুচারটে ডালপালা ভাঙলে হাত ধরে কাঁদে
কবুলের শাড়ি, সংসারে কঠিন রসয়ন করে বায়না,
এ চন্দ্রগ্রস্থে দেখাকেই হবে মানুষের মানষ পর্ব ।
এখানে ওখানে বেচ্ছেদিত হয় অন্য ঘরের অন্য স্বর।
দিনের গোপন তারার মত করেই মনান্দরে মরে
মরণের সর্বনাশ।

Print
3394 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা

About jexpress

Close