খাইরুল ইসলাম,যশোর এক্সপ্রেস কুষ্টিয়া অফিস :
খাদ্য বাংলাদেশের নাগরিকদের অন্যতম মৌলিক অধিকার। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে না
পারলে জনগণের খাদ্য অধিকার লঙ্ঘিত হয়। নিরাপদ খাদ্য আবার খাদ্য নিরাপত্তার
অপরিহার্য অংশও বটে। তাই এটি নিশ্চিত করতে না পারলে সার্বিকভাবে খাদ্য
নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। বর্তমানে শাকসবজি, মাছ-মাংস থেকে ফলমূল এমনকি শিশুখাদ্য
ও ঔষধে ভেজাল ও রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার বৃদ্ধি জনস্বাস্থ্যের হুমকিতে পরিণত
করেছে। যদিও স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রায়ই এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জনসচেতনতা
বাড়াচ্ছে কিন্তু এর প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর টনক খুব কমই নড়ছে বলে
প্রতীয়মান হয়। মাঝে মাঝে বাজারগুলোতে ভেজাল বিরোধী পরিদর্শন নাগরিকদের মনকে
হাল্কা স্বস্তি দিলেও সেটির কার্যকারিতা নিয়ে জনমনে প্রশ্নও রয়েছে। ভেজাল খাদ্য
গ্রহণের ফলে নানাবিধ দুরারোগ্য ব্যাধি ও জীবনহানির ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া জনাব, সৈয়দ বেলাল হোসেন মহোদয় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের
মহান দায়িত্ব গ্রহন করেই ভেজাল প্রতিরোধে আপোষহীন মনোভাবের পরিচয় দিয়ে প্রাথমিক
পর্যায়ে কুষ্টিয়ার বৃহৎ কাঁচাবাজার ও মাছের বাজার ‘মিউনিসিপ্যাল বাজারকে’
ভেজালমুক্ত ঘোষণা দেন এবং একই সাথে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করতে
জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া বিভিন্ন জনস্বার্থমুখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছিলেন।
পদক্ষেপসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো: ভেজাল প্রতিরোধে ব্যাপক জনসচেনতা বৃদ্ধিমূলক
সেমিনার, আলোচনা সভা, ও নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা। ক্ষেত্র বিশেষে
দেখা গেছে যে, জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া মহোদয় স্বয়ং বাজার পরিদর্শন করছেন।
চলমান রমজানে খাদ্য তদারকি ও পরিদর্শনে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য
স্থিতি রাখতে তিনি বদ্ধপরিকর। প্রতিদিন ১ জন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট বাজার
পরিদর্শন করছেন। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলেই অপরাধীকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে
জরিমানা বা সাজা প্রদান করা হচ্ছে।
ভেজাল বিরোধী আইনের প্রয়োগ এবং নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা শুধু জেলা
প্রশাসনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় কুষ্টিয়া জেলার সমগ্র উপজেলা প্রশাসন ও প্রত্যন্ত
হাট বাজারেও এর ব্যপক প্রতিফলন পরিলক্ষিত হচ্ছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ জেলা
প্রশাসনের এহেন জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। সাধারন জনগন মনে
করে যে, এই মহতী উদ্যোগ শুধু রমজানেই নয় নিয়মিত চালু থাকলে জনমনে আশার সুবাতাস
বহমান থাকবে।