খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে ‘গম কেলেংকারির’ হোতা দাবি করে তার পদত্যাগ চেয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন হওয়ার পরও মুক্তি না হওয়ায় সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বর্তমান ক্ষমতাসীনদের আমলে আইনের হাতের চেয়ে প্রশাসনের হাত বড় বিধায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা মুক্তি পাচ্ছে না।”
তিনি বলেন,“আইন নিজস্ব গতিতে চলছে না। বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়। মির্জা ফখরুলের মুক্তি পেতে কোন বাধা ছিল না। তিনি সব মামলায় জামিন পেয়েছেন।
সরকার পক্ষ জামিন বাতিলের আবেদনের পর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে জামিন বহাল থাকে। সরকার পক্ষ চেম্বারজজ আদালতে আবার আবেদন করে মির্জা ফখরুলের মুক্তিতে বাধা সৃষ্টি করছে ।”
তিনি বলেন, সরকার যদি মনে করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে দুর্বল করবে তাহলে তারা ভুল করবে। মিথ্যা মামলায় বিরোধী দল দুর্বল হয় না বরং সরকারই দুর্বল হয়।
গম কেলেংকারির ঘটনায় খাদ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, “আমরা আগেই বলেছি কামরুল ইসলামকে স্বপদে বহাল রেখে তদন্ত সঠিক হবে না। কামরুল ক্ষমতায় থেকে একটি লোকদেখানো তদন্ত কমিটি গঠন করেছে যাতে কোন সঠিক তথ্য উঠে না আসে।লোকদেখানো তদন্ত কমিটিতে ৩১টি গুদামের মধ্যে ৮টি গুদামের গম খারাপ এসেছে। বাকী গুলোর গম ভাল বলে দাবি করা হয়েছে। ”
তিনি আরো বলেন, “সরকার মানুষের সাথে মসকরা করছে। আমদানী করা পচা গম পুলিশকে দিয়েছিল সরকার। পুলিশ সাহসের সাথে পচা গম ফেরত দিয়েছে। সেই পচা গম গরীব মানুষকে দেওয়া হচ্ছে। তাহলে এ সরকার কি ধণীদের সরকার। আমদানি করা গম ওজনে কম, মান ভাল না হওয়ায় কেন তা ফেরৎ দেওয়া হল না। সরকার কাদের স্বার্থে এই পচা গম ক্রয় করছে। ”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “সরকারের মন্ত্রিপরিষদ থেকে একজন দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীকে বাদ দিলে সরকারের কোন ক্ষতি হয় না। বরং সরকারের ইমেজ বাড়ে।
দুর্নীতিবাজ ত্রানমন্ত্রী মোফজ্জেল হোসেন মায়াকে মন্ত্রী পরিষদে বহাল রাখায় সরকারের জনপ্রিয়তা কমেছে। যারা জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভারী করে তারা সরকারে থাকলে জনগণ ও সরকারের ক্ষতি হয়।”