দৈনিক যশোর এক্সপ্রেস আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনা এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার একটি বিমান বন্দরে জুরুরি অবতরণ করে ঠিকই কিন্তু বিমানের নিয়মিত আসনের যাত্রীদের চেয়ে একজন যাত্রী বেশি নিয়ে এটিকে অবতরণ করতে হয়েছে। বাড়তি যাত্রী হিসেবে সেখানে অবতরণ করেছে যে, সে প্রথম পৃথিবীর আলো দেখেছে যখন ওই বিমানটি প্রায় ত্রিশ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছিল। উড়ন্ত বিমানে সদ্য জন্ম নেওয়া ওই কন্যাশিশুটিকে জন্ম দিয়েছেন তাইওয়ানের এক নারী। ইন্দোনেশিয়ার বালি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসগামী একটি চীনা যাত্রীবাহী বিমানে তাইওয়ানের এক নারী বিমানে অবস্থানরত বিমানবালা এবং সাধারণ যাত্রীদের সহযোগিতায় এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়।
ইন্দোনেশিয়ার বালি থেকে বুধবার রাতে ওই বিমানটি উড্ডয়ন করে। মধ্যরাতের ঠিক পরপরই বিমানে থাকা এক তাইওয়ান নারীর প্রসব ব্যাথা ওঠে। কিন্তু বিপত্তি হল বিমানটি তখন প্রশান্ত মহাসাগরে ঠিক ত্রিশ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছে। এদিকে ওই নারীর প্রসব ব্যাথা ধীরে ধীরে বেড়েই চলছে। উপায়ান্তর না দেখে শেষ পর্যন্ত বিমানে থাকা কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে এগিয়ে আসেন বিমানবালাসহ কয়েকজন সাধারণ যাত্রী। উল্লেখ্য বিমানের ওই সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে একজন চিকিৎসকও ছিলেন। সবার প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত ওই নারী বিমানেই কন্যাশিশুটির জন্ম দেন। শিশুটির মা এবং শিশুর জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে বিমানচালক আলাস্কার ওই বিমান বন্দরে জরুরি অবতরণের আবেদন জানিয়েছিলেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ আছেন। জানা যায়, ওই শিশুটির জাতীয়তার সনদপত্র প্রদানের দায়িত্ব আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছেন। সে জন্মগত ভাবে একজন এশীয় আমেরিকান হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।