প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিদেশি হত্যায় জড়িত যেই হোক, বিচার হবেই “প্রধানমন্ত্রী”

দৈনিক যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: বিদেশি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটা মহল উঠে পড়ে লেগেছে। এই মহল যে-ই হোক না কেন শাস্তি তাদের অবশ্যই পেতে হবে। মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ ও ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করায় এ সংবর্ধনা দিয়েছে এফবিসিসিআই।

তিনি বলেন, ‘আমরা দিনরাত পরিশ্রম করি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করার জন্য। আর এটা তারা নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লাগে, কেন?’ প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, দেশ যখন এগিয়ে যায় তখন তা অনেকের কাছে পছন্দ হয় না।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে তখন দেশে ব্যবসার পরিবেশ বিরাজ করে। কিন্তু আমরা সৃষ্টি করি আর বিএনপি হরতার-অবরোধ দিয়ে তা ধ্বংস করে। বর্তমানে বিএনপি নেত্রী বিদেশে বসে দেশে বিদেশি হত্যার ষড়যন্ত্র করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে আমরা যখন পথ চলা শুরু করেছি, তখন অনেকে ঠাট্টা করতো। ডিজিটাল বাংলাদেশে বিদ্যুতের লোড শেডিং হয়। অথচ আজ পর্যন্ত সারাদেশে ৫ হাজার ২৭৫টি স্থানে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি, ১৬ কোটি মানুষের দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে ১৩ কোটি।

তিনি বলেন, দেশে ৪ হাজার পোস্ট অফিসকে ডিজিটাল করার কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। এছাড়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করার কার্যক্রম চলছে; যার মাধ্যমে দেশের মানুষ আরো সহজে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। এসব কিছুর মাধ্যমে আজ আমাদের স্বপ্ন অনেকাংশই বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।  পুরস্কারপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে দুটি খাতে পুরস্কার পেয়েছি, আমি মনে করি এটা আমাদের দেশের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। আমরা সবাই মিলে দেশটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে চাই। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে চাই। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মত দেশগুলোর বৈশ্বিক উষ্ণায়নে তেমন কোনো ভূমিকা না থাকলেও আমরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।  পরিবেশ রক্ষায় ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সময় পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়গুলো যথাযথভাবে পালন করবেন। যেখানে শিল্প হবে সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নজর দেয়ার আহবান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে বড় বড় হাসপাতাল হয়েছে অথচ তারা সঠিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করছে না। ফলে এসব বজ্য নদীর পানির সঙ্গে মিশে পরিবেশ মারাত্মক দূষণ করছে। এজন্য সব মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের দ্রুত সবুজ অর্থনীতির দিকে অগ্রসর হতে হবে- এমন মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের এমনভাবে কলকারখানা নির্মাণ করতে হবে, যেখানে ক্ষতিকারক বর্জ্য উৎপন্ন হয়ে পরিবেশ দূষণ করবে না। আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়াতে হবে। তাই যেসব এলাকায় নতুন শিল্প প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সে এলাকাগুলোতে সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি। একই সঙ্গে চাষাবাদে জৈব পদ্ধতির ব্যবহার বাড়াতে আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে সম্মাননা তুলে দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলাম, সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সাংসদ, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Print
1654 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা

About jexpress

Close