১৪ অক্টোবর- নেত্রকোণার নাজমুল দীর্ঘ আট বছর ধরে বৈধভাবে মালেশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাগানে কাজ করে আসছেন। একসময় ভালো বেতনও পেয়েছেন। সাড়ে তিন একর বাগান পরিচর্যা বাবদ ওভারটাইমসহ দিনপ্রতি ৭৫ রিংগিটও আয় করেছেন। সম্প্রতি মালিক বেতন কমাতে কমাতে দিনপ্রতি ১৫ রিংগিটে নামিয়ে এনেছেন, যা দিয়ে তার খাওয়ার খরচও হয়না। নাজমুল দেশে চলে আসতে চাইলে তার গত কয়েকমাসের বেতন ও পাসপোর্ট আটকিয়ে দেয় মালিক। থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ হাসে। নাজমুল দূতাবাস চিনেন না, কারও নম্বরও জানেননা। কেউ একজন তাকে এই পেইজের নম্বর দিয়েছে। ফোনে অভুক্ত নাজমুল কান্নার শক্তিও পাচ্ছিলেননা। অশিক্ষিত নাজমুল এই শিক্ষিত দাসত্ব থেকে মুক্তি চান। পাসপোর্ট নিয়ে বৈধভাবে বাংলাদেশে ফেরত এসে মাথা উঁচু করে হালচাষ করে জীবন ধারণ করতে চান…
‘কয় বেলা না খাইয়া আছি জানিনা স্যার, ক্ষুধায় ঘুম আসেনা স্যার… দেশে গিয়া হালচাষ করে খামু, আমারে নিয়া যান স্যার…’
পোস্টটি ছিল ম্যাজিস্ট্রেট অল এয়ারপোর্টস বাংলাদেশ ফেসবুক ফ্যান পেইজের। পেইজটি পরিচালনা করেন এয়ারপোর্টের কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট। নাজমুলের বক্তব্য লিখে তাঁরা পোস্ট করে পেইজে। এসময় কেউ একজন ফেসবুকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে ট্যাগ দেন। এরপরেই প্রতিমন্ত্রী সেখানে ‘অন ইট লিখে’ বোঝান তিনি বিষয়টি আমলে নিয়েছেন। পেইজটির পক্ষ থেকে লেখা হয়,‘ধন্যবাদ স্যার। অধীর আগ্রহে বসেছিলাম কখন ধন্যবাদ দেব। জানতাম, অন্তত আপনি না এসে পারবেন না।’ ইশতিয়াক হিমন নামে একজন মন্তব্যে করেন, ‘একজন প্রতিমন্ত্রী জনগণের সাহায্যে ফেসবুকে সাড়া দিচ্ছেন এটা আমার দূরতম কল্পনাতেও ছিল না! সত্যিই আমরা বদলাচ্ছি, দেশটা বদলাতে কতক্ষণ!’