যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: বহুল কাঙ্ক্ষিত গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের মূল অবকাঠামো আজ বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় পলক বলেন, ‘হাইটেক পার্কে প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগকারীদের জন্য আগামী ১০ বছর আয়কর সুবিধাসহ ১২ রকমের প্রণোদনা প্রদান করা হবে।’ তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পরে হলেও হাইটেক পার্কের মূল ভবনের কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, ওয়ানস্টপ সার্ভিস হাউজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম। হাইটেক পার্কের আশপাশের গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য পার্কের অর্থায়নে সড়ক তৈরি করা হয়েছে। ফলে জনগণের চলাচলে সমস্যা হবে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে টিআর ফোর ডেটা সেন্টার, যেটি পৃথিবীর মধ্যে ৫ম ডেটা সেন্টার, সেটিও এখানে ৭-৮ একর জায়গার মধ্যে হবে। ২০ একর জায়গা রাখা হয়েছে রিচার্স এন্ড ডেভেলপ সেন্টারের জন্য। প্রথম পর্যায়ে আজকে ফাইভার অ্যাট হোম এবং মালোয়েশিয়ার আহরিশ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি ৪১ একরের মধ্যে প্রথম ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করল। আমরা আশা করছি, এক বছরের মধ্যেই ভবন তৈরি শেষ করতে পারব। হয়ত ২০১৭ সালের মধ্যে ইন্ডাট্রিজের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করতে পারব। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস, সাপ্লাইয়ের পানির লাইন, সড়কবাতি, আভ্যন্তরীণ রাস্তা, ইত্যাদি কাজ হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় ১২ রকম অর্থনৈতিক ইনসেনটিভ ঘোষণা করেছি। সেগুলোর এসআরও জারি হয়েছে। যেমন আগামী ১০ বছর এখানে কর্পোরেট ট্যাক্স থাকবে না। ডেভেলপারদের জন্য যে ম্যাটারিয়াল আসছে সেগুলোর ইমপোর্ট ডিউটি থাকবে না। ইতোমধ্যে জাপান, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ভারতের বেশ কিছু কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আমরা আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের লাইফ লাইন হিসেবে ডিজিটাল ইকোনমির সম্ভবানার যে দরজা তা হাইটেক পার্ক দিয়ে উন্মোচন করতে পারব।’
পরে প্রতিমন্ত্রী স্থানীয় প্রশাসন, বিভাগীয় কর্মকর্তা ও মিডিয়াকর্মীদের উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভায় হাইটেক পার্কের বর্তমান অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, জেলা প্রশাসকে এস এম আলমসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে প্রতিমন্ত্রী কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রায় অবস্থিত ওয়ালটন কারখানার বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং কারখানার কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।