যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: যশোরে ভয়াবহ ডায়রিয়া পরিস্থিতির জন্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পৌর কর্তৃপক্ষ দায়ী। পানি সরবরাহ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিক নিয়মে না করে নাগরিকদের মরণফাঁদে ফেলেছেন পৌরকর্তারা। কারণ পানিতে মিলেছে কলেরার জীবাণু। স্বাস্থ্য বিভাগের গবেষক দল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানিয়েছে, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫০ ভাগ রোগীই পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের। শহরের পুরাতন কসবা, কাজীপাড়া, কাঁঠালতলা, পুলিশ লাইন এলাকার মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। একইসাথে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ষষ্ঠিতলাপাড়া, চাঁচড়া, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেজপাড়া, শংকরপুর এলাকার মানুষও আক্রান্ত হচ্ছেন। ঢাকা থেকে আগত গবেষক দল ভর্তি হওয়া রোগীদের সাথে কথা বলে ও সরেজমিন পরিদর্শন করে ডায়রিয়া প্রাদুর্ভাবের মূল কারণ চিহ্নিত করেছেন। একইসাথে রোগীর ইস্টুল (মল) পরীক্ষার রিপোর্টও নিশ্চিত করেছে মাত্রাতিরিক্ত প্রাদুর্ভাবের আসল কারণ।
মল পরীক্ষার রিপোর্টে কলেরার জীবাণু ধরা পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় উঠে এসেছে, আক্রান্ত রোগীদের বসবাসের এলাকার পানি সরবরাহ লাইনে অস্বাভাবিকভাবে ত্রুটি রয়েছে। পানির পাইপে একাধিক স্থানে ছিদ্র রয়েছে। একইসাথে মলমূত্র নিষ্কাশনের লাইনের সাথে পানি সরবরাহ লাইন একাকার হয়ে গেছে। যারা পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পান ও ব্যবহার করছেন তাদের শরীরে কলেরার জীবাণু প্রবেশ করছে। এতে সাথে সাথে তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
গত জানুয়ারিতে যশোরে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে পৌর কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পানির লাইনের ত্রুটি সারানোর জন্যে। কিন্তু অনুরোধে পৌর কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক কোন সাড়া দেননি। ফলে আবারো ডায়রিয়া বিপর্যয় হলো।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শ্যামল কৃষ্ণ সাহা এ প্রসঙ্গে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের একার পক্ষে সম্ভব নয় জনগণকে সুস্থ রাখা। নাগরিক সেবা দেয়ার জন্যে দায়বদ্ধ সব কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আন্তরিক হতে হবে। ডায়রিয়া পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। রোগীর সংখ্যা বাড়তেই আছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছে আরো ৪৮ জন। পুরাতন রোগীর সাথে নতুন রোগী মিলিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৭১ জন। সরকারি পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় বেসরকারি অনুদানের ওপর নির্ভর করে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, গবেষক দল নিশ্চিত হয়েছেন কলেরা জীবাণুর কারণে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। পৌরসভার পানি সরবরাহের লাইনের ত্রুটিতে মলমূত্র নিষ্কাশনের লাইন একাকার হয়ে গেছে। এ কারণে কলেরার জীবাণুর সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। গবেষণা প্রতিবেদন ও রোগীর মলের ল্যাবরেটরি পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আজ সকাল ১০টায় বৈঠক করা হবে। এতে সিভিল সার্জন, প্রশাসনের কর্তারা, পৌরসভা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বৈঠকে ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে করণীয় বিষয় নির্ধারণ করা হবে। বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমের কাছে যশোরের ডায়রিয়া পরিস্থিতি বিষয়ে ব্রিফিং করা হবে।
এদিকে, শনিবার বেলা ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন চাকলাদারের পক্ষে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শ্যামল কৃষ্ণ সাহার কাছে ২ হাজার লিটার কলেরা স্যালাইন এবং ১শ’ ভায়াল ওরাডেক্সন ইনজেকশন অনুদান দেয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম আফজাল হোসেন, শহর আওয়ামী লীগ নেতা ইমাম হাসান লাল, জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শেখ আব্দুল মতলেব বাবু, সৈনিক লীগের সভাপতি মোল্লা জাহিদ হোসেন, যুবলীগ নেতা ফন্টু চাকলাদার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু প্রমুখ।
মল পরীক্ষার রিপোর্টে কলেরার জীবাণু ধরা পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় উঠে এসেছে, আক্রান্ত রোগীদের বসবাসের এলাকার পানি সরবরাহ লাইনে অস্বাভাবিকভাবে ত্রুটি রয়েছে। পানির পাইপে একাধিক স্থানে ছিদ্র রয়েছে। একইসাথে মলমূত্র নিষ্কাশনের লাইনের সাথে পানি সরবরাহ লাইন একাকার হয়ে গেছে। যারা পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পান ও ব্যবহার করছেন তাদের শরীরে কলেরার জীবাণু প্রবেশ করছে। এতে সাথে সাথে তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
গত জানুয়ারিতে যশোরে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে পৌর কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পানির লাইনের ত্রুটি সারানোর জন্যে। কিন্তু অনুরোধে পৌর কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক কোন সাড়া দেননি। ফলে আবারো ডায়রিয়া বিপর্যয় হলো।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শ্যামল কৃষ্ণ সাহা এ প্রসঙ্গে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের একার পক্ষে সম্ভব নয় জনগণকে সুস্থ রাখা। নাগরিক সেবা দেয়ার জন্যে দায়বদ্ধ সব কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আন্তরিক হতে হবে। ডায়রিয়া পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। রোগীর সংখ্যা বাড়তেই আছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছে আরো ৪৮ জন। পুরাতন রোগীর সাথে নতুন রোগী মিলিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৭১ জন। সরকারি পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় বেসরকারি অনুদানের ওপর নির্ভর করে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, গবেষক দল নিশ্চিত হয়েছেন কলেরা জীবাণুর কারণে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। পৌরসভার পানি সরবরাহের লাইনের ত্রুটিতে মলমূত্র নিষ্কাশনের লাইন একাকার হয়ে গেছে। এ কারণে কলেরার জীবাণুর সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। গবেষণা প্রতিবেদন ও রোগীর মলের ল্যাবরেটরি পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আজ সকাল ১০টায় বৈঠক করা হবে। এতে সিভিল সার্জন, প্রশাসনের কর্তারা, পৌরসভা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বৈঠকে ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে করণীয় বিষয় নির্ধারণ করা হবে। বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমের কাছে যশোরের ডায়রিয়া পরিস্থিতি বিষয়ে ব্রিফিং করা হবে।
এদিকে, শনিবার বেলা ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন চাকলাদারের পক্ষে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শ্যামল কৃষ্ণ সাহার কাছে ২ হাজার লিটার কলেরা স্যালাইন এবং ১শ’ ভায়াল ওরাডেক্সন ইনজেকশন অনুদান দেয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম আফজাল হোসেন, শহর আওয়ামী লীগ নেতা ইমাম হাসান লাল, জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শেখ আব্দুল মতলেব বাবু, সৈনিক লীগের সভাপতি মোল্লা জাহিদ হোসেন, যুবলীগ নেতা ফন্টু চাকলাদার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু প্রমুখ।
1941 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা