যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: দেশে ফেরত পাঠানো ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারে অনশন শুরু করা ৫৪ জনের মধ্যে ১১ বাংলাদেশিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই ১১ জনকে আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আদালতে হাজিরা দিতে হবে। সেখানে তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনের শুনানি হবে। তবে আরও ৪০ বাংলদেশিসহ মোট ৪৩ জন এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের আদেশ স্থগিত করাসহ ছয় দফা দাবি রয়েছে তাদের।শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারের সামনে থেকে টেলিফোনে কথা বলেন দীর্ঘ ১০ মাস ৬ দিন পর মুক্তি পাওয়া বিক্রমপুরের মো. নাসের (৩১)।
তার সঙ্গে মুক্তি পাওয়া অন্যদের মধ্যে নয়জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- আব্দুল হামিদ, মাসুম আহমেদ, জাকির হুসেন, শাহীন মিয়া, রিপন আহমেদ, সোহেল, নাদের আহমেদ, লোকমান আলী ও আহমেদ জাহেদ। মুক্তিপ্রাপ্তরা স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দাদের আশ্রয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন নাসের।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি দেওয়ার পরিবর্তে বহিষ্কারের নির্দেশ জারির পর গত বুধবার সকাল থেকে এল পাসো ডিটেনশন সেন্টারে অনশন শুরু করেন বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীরা। নাসের জানিয়েছেন, ফেনীর ফয়েজ আহমেদ (২৯) নামক একজনকে জোর করে বহিষ্কারের পরই তারা অনশনের মত কঠিন কর্মসূচি নিতে বাধ্য হয়েছেন। এদিকে ডিটেনশন সেন্টারে অনশনরতদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের সংগঠন ‘ডিটেইন মাইগ্র্যান্ট সলিডারিটি কমিটি’।
এই সংগঠনের ব্যানারে অনশনরতদের মুক্তি দাবিতে ওইদিন বিকালে ‘লাঞ্চবক্স’ নামের একটি রেস্টুরেন্টের সামনে একটি মানববন্ধনও হয়। সংগঠনটির অন্যতম প্রধান রোকসানা বেনডেজু বলেন, “প্রাণের ভয়ে প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। অথচ এখানেও তারা স্বস্তি পাচ্ছেন না। এটি চলতে পারে না।”
অনশনরতদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তাদের পাশে থাকার ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া ‘ন্যাশনাল ল’ইয়ারস গিল্ড’ এবং ‘নো ওয়ান মোর ডিপোর্টেশন’ নামের দুটি সংস্থার পক্ষ থেকে অনশরতদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।