যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় ‘শান্তি চুক্তি’ বাস্তবায়নের দাবিতে আজ বুধবার সরকারি-বেসরকারি অফিসে কাজ বর্জনের কর্মসূচি পালন করছে জনসংহতি সমিতি। সংগঠনটি বলছে, সরকারের সঙ্গে অসহযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা আজ কাজ থেকে বিরত থাকছেন। এ কারণে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে সরকারি-বেসরকারি অফিসে কর্মরত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজনকে কাজে যোগ না দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। সম্প্রতি পার্বত্য এলাকায় চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সই হয়।
চুক্তির ১৭ বছর পরেও চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায়, গত বছরের নভেম্বর মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে জনসংহতি সমিতির নেতারা সরকারকে পাঁচ মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। এরপর তারা শুরু করে অসহযোগ আন্দোলন। পার্বত্য জনসংহতি সমিতির প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ পূর্ণাঙ্গ কার্যকর করা, সামরিক বাহিনীর ক্যাম্প পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেয়া অন্যতম। সমিতির নেতা সন্তু লারমার অভিযোগ, চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। কোনো একটি অংশ পার্বত্য এলাকায় অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে। অন্যদিকে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন, জনসংহতি সমিতিই পার্বত্য এলাকায় অস্থিরতা তৈরির জন্য দায়ী। এর আগে অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে জনসংহতি সমিতি। স্থানীয় বাঙালিরা এ ধরনের কর্মসূচিতে সাড়া না দিলেও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন এসব কর্মসূচি পালন করে থাকেন। সূত্র: বিবিসি