যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: সাতীরার ভোমরা স্থলবন্দরে বিজিবি সদস্যদের হাতে দুই শ্রমিক লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন ধর্মঘট শুরু করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে কাজ বন্ধ করে দিয়ে তারা বন্দরের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেন। এদিকে, শ্রমিক-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের আন্দোলনের সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন একাত্মতা ঘোষণা করায় বন্ধ হয়ে গেছে বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম। এতে বন্দর এলাকায় পণ্য খালাসের অপোয় ট্রাকের দীর্ঘ লাইন পড়েছে। ভোমরা স্থলবন্দর কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম মিলন জানান, বন্দরে সেজুঁতি এন্টারপ্রাইজের পণ্য স্কেলিং করানোর সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ৩৮ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর মোজাম্মেল হক আব্দুস সবুর ও গোলাম রসুলের ওপর চড়াও হয়ে তাদের লাঞ্ছিত করেন। দুই সদস্যকে লাঞ্ছিত করায় ুব্ধ হয়ে অ্যাসোসিয়েশন তখনই কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর মোজাম্মেল হক জানান, পন্য স্কেলিংয়ের সময় বিজিবির নোট নেওয়ার নির্দেশনা ছিল। সে মোতাবেক সেজুঁতি এন্টারপ্রাইজের পণ্য স্কেলিংয়ের সময় বিজিবি নোট নিচ্ছিল। এ সময় আব্দুস সবুর ও গোলাম রসুল নোট নেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এতে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে তাদের বচসা হয়। তবে, কাউকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি ঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন। স্কেলিংয়ের সময় বিজিবি’র উপস্থিতি ও পরিমাপের নোট নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার শরীফ আল আমিন জানান, পণ্য পরিমাপের জন্য বিজিবিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক নাসিম ফারুক খান মিঠু দুটি সংগঠনের একযোগে কর্মবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্কেলিংয়ের সময় বিজিবির উপস্থিতি অনাকাক্সিক্ষত।’

লাঞ্ছনার’ প্রতিবাদে ধর্মঘট, ভোমরা স্থলবন্দর অচল
859 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা