যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: অবশেষে আজ বুধবার রাত ১০ টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা বেনাপোল-পুটখালী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের আংরাই সীমান্ত পথে ইছামতি নদী পার করে বিজিবির কাছে মনিরুলের লাশ হস্তান্তর করেছে। বুধবার রাত ১০ টায় বেনাপোলের পুটখালী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের আংরাইল ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা নদী পথে তার লাশ ফেরত দেয়।
বিজিবি জানায়, মনিরুলের পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর তারা বিএসএফ সদস্যদের কাছে নিহতের একটি ছবির জন্য অনুরোধ করেছিলেন। পরবর্তীতে বিএসএফ গুলিবিদ্ধ ওই যুবকের ছবি বিজিবির কাছে পাঠিয়ে দিলে মনিরুলের পরিবার ছবি দেখে ছেলে হত্যার বিষয়ে নিশ্চিত হয়। পরবর্তীতে বিজিবি সদস্যরা গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ ও লাশ ফেরত চেয়ে বিএসএফ সদস্যদের কাছে আবেদন করলে তারা লাশ ফেরত দিতে রাজি হয়। গতকাল ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট স্থলপথে লাশ ফেরত দেওয়ার কথা জানালে ওই দিন রাত ১০ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়। কিন্তু বিএসএফ সে দিন লাশ ফেরত দেয়নি।
অবশেষে বুধবার রাত ১০ টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা বেনাপোল-পুটখালী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের আংরাই সীমান্ত পথে ইছামতি নদী পার করে বিজিবির কাছে লাশ হস্তান্তর করে।২৩ ব্যাটালিয়নের পুটখালী বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার ফরিদ উদ্দিন লাশ ফেরতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কাগজ পত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মনিরুলের পরিবারের কাছে লাশ তুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার ভোরে বেনাপোল পোর্টথানার পুটখালী ইউনিয়নের বালুন্ডা গ্রামের মুনসুরের ছেলে মনিরুলসহ তার কয়েকজন বন্ধু ভারতীয় গরু নেওয়ার জন্য বেনাপোলের পুটখালী সীমান্তের ইছামতি নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছিল। এসময় বিএসএফ সদস্যরা ধাওয়ায় অনান্যরা পালিয়ে গেলেও মনিরুলকে বিএসএফ ধরে ফেলে। এসময় তাকে পিটিয়ে ও গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে নদীতে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে ওই দিন সকাল ১০ টার দিকে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা গাইঘাটা থানার পুলিশ খবর পেয়ে নদী থেকে তার লাশ নিয়ে যায়।