Ganajagaran Manchas‘Coffin protest’ against killings and attacks

Niloy Sobhan : Ganajagaran Manchas‘Coffin protest’ against killings and attacks on 05/11/2015
লেখক-প্রকাশককে হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণজাগরণ মঞ্চের কফিন মিছিল l
Activists of Ganajagaran Mancha march towards home ministry with symbolic coffins in protest against brutal killing of publisher of Jagriti Prokashoni Faisal Arefin Deepan and attempt to murder another publisher Ahmed Rashid Tutul, poet Tareq Rahim and writer Ranadipam Basu on October 31.
police stopped the token coffin march to the home ministry, brought out by Gonojagoron Mancha today in protest to the killings of free thinkers and a publisher, near Jatiya Press Club.
Shouting slogans for resignation of the home minister and carrying six token coffins, including that of publisher Dipan, they began a demonstration there facing barbwire barricades and armed personnel cannon.
A five-member delegation led by Imran was allowed to pass for placing a memorandum to the home ministry.“The government failed to arrest the killers and hold trial of the culprits,” Imran told reporters after coming back.
“The minister assured us that the government never tolerated militancy in the past nor will it do in the future,” he added.
The Gonojagoron Mancha spokesman also raised questions whether Bangladesh as a state was a safe place at all anymore.
The march began from Dhaka’s Shahbagh around 12:00 noon with over a hundred participants and paraded through Dhaka University’s Doyel Chattar.
Among those who participated in the march were several student organisations, including Bangladesh Chhatra Union and a faction of Samajtantrik Chhatra Front, and people from all walks of life.
Earlier this morning, Jatiya Samajtantrik Dal (Jasad) held a human chain in front of national museum at Shahbagh protesting the attacks and killing of the publishers and bloggers.
In twin attacks on October 31, Jagriti publishing house owner Faisal Arefin Dipan was hacked to death while Shuddhwashawr owner Ahmedur Rashid Tutul and bloggers Tareque Rahim and Ranadipam Basu were left injured.
No one has been arrested yet over the attacks.
লেখক-প্রকাশককে হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে কফিন মিছিলের পর তিনি বলেন, “যখন পুলিশ বাহিনীর উপর আক্রমণ হচ্ছে তখনও পুলিশ সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন। কেন? কেন জঙ্গিদের বিষয়ে সরকারের এত রক্ষণশীলতা? কেন সরকার তাদের বিষয়ে এতো উদার?”
তিনি বলেন, “প্রশাসনের ভেতর জঙ্গিবাদের ভূত ঢুকেছে। এক ধরনের চতুর রাজনীতিবিদ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতর জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিস্পৃহ রেখেছে। কাজ করতে দিচ্ছে না।”
হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের কারণে খুনিরা ধরা পড়ছে না বলে মন্তব্য করেন ইমরান।
“কোনো হত্যাকাণ্ড ও হামলার ঘটনা ঘটলে বলা হয়, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এদের ধরতে পারছে না। কারণ এর মাধ্যমে তাদের কাছে বার্তা যায়, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, তোমাদের এতো তৎপর হওয়ার দরকার নাই।”
আবার কখনও কখনও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর দায় চাপানোর মাধ্যমেও হত্যাকারীদের উৎসাহিত করা হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইমরান এইচ সরকার বলেন, “আজকে যারা পুলিশ বাহিনীকে অকার্যকর করে রেখেছে, জঙ্গিদের দমনে নিস্পৃহ করে রেখেছে, তারাই একের পর এক হত্যা ও এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
“রাষ্ট্র ও প্রশাসন থেকে জঙ্গিবাদের এই ভূত আগে তাড়াতে হবে। তা না হলে এদেশকে কোনোভাবে জঙ্গিবাদীদের হাত থেকে, জামায়াত-শিবিরের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।”
জনগণের বিক্ষোভ ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে সরকার কঠোর হলেও জঙ্গি দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এখন এই হামলা কেবল মুক্তচিন্তুকদের বিরুদ্ধে নেই, এই হামলা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। যে যুদ্ধ জঙ্গিবাদী অপশক্তি শুরু করেছে সেই যুদ্ধে তারা পুলিশ-মিলিটারি কাউকে ছাড় দেবে না।”
জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে প্রশাসন-পুলিশ, শিক্ষক-লেখক, নারী-পুরুষ, আদিবাসী, বাঙালি সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গত ৩১ অক্টোবর শাহবাগে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই দিনে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের কর্ণধার আহমেদ রশিদ টুটুল, কবি তারেক রহিম ও লেখক রণদীপম বসুকে হত্যার চেষ্টায় কুপিয়ে আহত করা হয়।
এর আগে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের অগাস্ট পর্যন্ত ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার, গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী আরিফ রায়হান দীপ, লেখক অভিজিৎ রায়, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ ও নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়কে একই কায়দায় হত্যা করা হয়।
পুলিশ বলে আসছে, এসব ঘটনার প্রতিটিতেই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমসহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন জড়িত। বেশক কয়েকজনকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হলেও এ পর্যন্ত কোনো ঘটনারই কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।
এসব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারা দেশে আধাবেলা হরতাল করে গণজাগরণ মঞ্চ। এরপর বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে এই কফিন মিছিল হয়।
বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ থেকে কফিন মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য ও দোয়েল চত্বর হয়ে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। নিহত ব্লগার ও প্রকাশক হত্যার প্রতিবাদে এ সময় ছয়টি প্রতীকী কফিন বহন করেন তারা।
তাদের এ কর্মসূচি ঘিরে সচিবালয় এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। হাই কোর্ট হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব পার হওয়ার পর সচিবালয়ের পশ্চিম ফটকে এসে কফিন মিছিল পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে পড়ে।
পুলিশের বাধায় আর এগোতে না পেরে সেখানেই বসে পড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন মঞ্চের কর্মীরা।
পুলিশের ভূমিকার নিন্দা জানিয়ে ইমরান বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে এসেছিলাম। পুলিশ এতে বাধা দিয়েছে। সারা দেশে যখন একের পর এক লেখক-ব্লগার-প্রকাশক-ধর্ম প্রচারক থেকে শুরু করে পুলিশদের ওপরও হামলা করা হচ্ছে, তখন আমরা এই বাধার তীব্র নিন্দা জানাই।”
জঙ্গিবাদীদের হামলার বিষয়ে সরকারের ‘নীরবতায়’ হামলাকারীরা ‘উৎসাহিত হচ্ছে’ বলেও মন্তব্য করেন মঞ্চের মুখপাত্র। পরে ইমরানসহ সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে আসেন।
স্মারকলিপিতে জঙ্গি হামলায় নিহত লেখক-প্রকাশক এবং তাদের হত্যা মামলায় তেমন কোনো অগ্রগতি না হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
বেলা ২টার দিকে সচিবালয় থেকে বেরিয়ে ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি, আজকে আমরা যে কফিনগুলো এনেছি তাতে আরও নতুন কাউকে ভরবেন নাকি বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে কবর দেবেন এই সিদ্ধান্ত আপনাদের নিতে হবে।”
এ সময় ‘সরকার জঙ্গিবাদের প্রশ্রয় দেয় না এবং দেবে না’ মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখক-প্রকাশক হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন বলে জানান তিনি।
আশ্বস্ত হয়েছেন কি না জানতে চাইলে ইমরান বলেন, “আমরা আশ্বস্ত হয়েছে কি না এটা এখনও বলতে পারছি না। কেননা আপনারা জানেন যে এই ধরনের কথা মন্ত্রী বা সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় শুনেছি।”
শুক্রবারের সংহতি সমাবেশ থেকে মঞ্চের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান গণজাগরণের এই মুখপাত্র।

Print
3465 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা

About jexpress

Close