যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতা হত্যার দায়ে তিনজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এই তিনজন হলেন- কুষ্টিয়ার মীরপুর উপজেলার রাজনগর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে সাফায়েত হোসেন হাবিব, কুর্শা গ্রামের উম্মতের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম ঝন্টু। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১ মিনিটে সাফায়েত ও আনোয়ারের এবং ১১টা ৪৫ মিনিটে ঝন্টুর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় ব্রাশফায়ারে প্রাণ হারান কাজী আরেফ আহমেদ, কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরাইল হোসেন ও সমশের মণ্ডল। ওই ঘটনার পরদিন দৌলতপুর থানার এসআই মো. ইসহাক আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।আলোচিত ওই মামলার রায়ে ২০০৪ সালের ৩০ অাগস্ট কুষ্টিয়া জেলা জজ আদালত ১০ জনের ফাঁসি এবং ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
ওই রায়ে ইলিয়াস, রাশেদুল ইসলাম ওরফে ঝন্টু, সাফায়েত হোসেন (হাবিব), আনোয়ার হোসেন, সাহির হোসেন, মান্নান মোল্লা, বাকের, রওশন, জাহান ও জালালের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া রাফাত ওরফে রাফা, গারেস, তাসিরুদ্দিন, আসগর জোয়ারদার, নজরুল ইসলাম, ওয়ালিউর রহমান, একুব্বার, টিক্কা ওরফে জাব্বার, লাবলু, ফিরোজ ওরফে ফরু, লাল্টু ওরফে নুরুজ্জামানকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের কয়েকজনের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৩১ আগস্ট নয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে ২০১১ সালের ৭ অাগস্ট পাঁচজনের ফাঁসি এবং সাতজনের যাবজ্জীবনের রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ইলিয়াস হোসেন মারা গেছেন। মান্নান মোল্লা পলাতক। বাকি তিনজনের মধ্যে আনোয়ার হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম ঝন্টু রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করলেও গত ১৯ নভেম্বর তা খারিজ হয়ে যায়।