পরে বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, ‘ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা উভয় দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছি। ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে আর কোনো বাধা রইল না।’ বৈঠক সূত্র জানায়, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ আমদানির চূড়ান্ত চুক্তি করা হবে। এ বিষয়ে শনিবারই একটি খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উভয় দেশ। সূত্র আরো জানায়, বিদ্যুতের দাম নির্ধারণে উভয় দেশ কিছুটা ছাড় দিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। ত্রিপুরা থেকে যে বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে তার স্থায়ী (ক্যাপাসিটি) কোনো খরচ নেই। অর্থাৎ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ আমদানি করলেই বিল দেবে, না নিলে কোনো বিল দেয়া লাগবে না।
বর্তমানে ভারতের পশ্চিমাঞ্চল থেকে বাংলাদেশের ভেড়ামারা দিয়ে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। এই ৫০০ মেগাওয়াটের মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে নেয়া ২৫০ মেগাওয়াটের দাম প্রতি ইউনিট ২ রুপি ৪৬ পয়সা। বাকি ২৫০ মেগাওয়াট বেসরকারিভাবে নেয়া হচ্ছে, যার দাম প্রতি ইউনিট ৫ রুপি ৪৬ পয়সা। এখানে ক্যাপাসিটি খরচও দিতে হয়। সূত্র জানায়, ভারত প্রথমে ত্রিপুরার বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট প্রায় ৮ রুপি করে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সম্মত হয়নি। সেজন্যই বিদ্যুৎ আনতে দেরি হয়েছে। দর কষাকষির একপর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ সাড়ে ৫ রুপি করে দিতে রাজি হলো ভারত।