স্পোর্টস ডেস্ক: আশা জাগিয়েও শেষপর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ অলিম্পিক টিম। আক্রমণের পর আক্রমণ দেখে মনে হচ্ছিল যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়াম যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র। সিফাতের আক্রমণে অনেকটা নাজেহাল হয়ে পড়ে বাহরাইনের খেলোয়াড়রা। ম্যাচের প্রথম থেকে সিফাত ছিলেন দুরন্ত। দলের জন্যে একটি গোলও আনেন তিনি। ম্যাচে এগিয়ে থেকেও ১-১ গোলের সমতা নিয়ে মাঠের বাইরে আসতে হয় এই যুবাদের। যশোরের শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অদম্য পারফর্ম করেও জয়ের দেখা মেলেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ভাগ্যে। তবে, জয়ের আশা নিয়ে মাঠে নামা বাহরাইনকেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে দেয়নি সিফাতরা। প্রথমার্ধের ১০ মিনিট, দারুণ এক সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক তা শক্ত হাতে প্রতিহত করেন। ম্যাচের ১৭ মিনিটে রুবেলের তৈরি করা বলটি নিজের দখলে নিয়ে সিফাত তা ঢুকিয়ে দেন বাহরাইনের জালে। গোল হজম করেই জ্বলে ওঠে বাহরাইন। ২২ মিনেটে তারই বহির্প্রকাশ ঘটে। স্বাগতিকদের রক্ষণের ভুল পাসে বাহরাইনের জসিম গোল পরিশোধ করেন। ম্যাচে ১-১ সমতায় ফেরে সফরকারীরা ।
এরপর শুরু হয় গোল পরিশোধের মহাচেষ্টা। একের পর এক আক্রমণ শানায় বাংলার ছেলেরা। সজিব দারুণ একটি সুযোগ পান দলকে এগিয়ে নেওয়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে না। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া ছিল বাংলাদেশ। একাধিকবার আক্রমণে উঠেও ভালো ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলের দেখা পায়নি। বাহরাইনের এই দলের বেশিরভাগ ফুটবলারের বয়স বিশের কম। কিন্তু এই দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও শারীরিক শক্তিতে বারবার পিছিয়ে পড়েছে অলিম্পিক দলের খেলোয়াড়েরা। অনেকের মধ্যেই ছিল একা একা গোল করার চেষ্টা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটের মাথায় দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক দল। ৬৪ মিনিটের মাথায় মাসুক মিয়া জনির বাড়ানো বলে বাহরাইনের ডি-বক্সে প্রবেশ করেন বাবু। তবে, নিজের নিয়ন্ত্রণে বল রাখতে পারেননি তিনি। ৭০ মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে কৈলাশ যে শটটি নেন তা জালে জড়ানোর মতো ছিল না।
৭৩ মিনিটের মাথায় আবারো জোরালো আক্রমণে বাহরাইনের ডি-বক্সে প্রবেশ করে বাংলাদেশের যুবারা। ৮১ মিনিটে আরেকটি কর্নার থেকে বল পান লাল-সবুজদের দলপতি রেজাউল করিম। হেড করলেও তা গোলবারের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে আতিকুর রহমান ফাহাদের পরিবর্তে মাঠে বদলি হিসেবে প্রবেশ করেন ইমন। ৯০ মিনিটে বদলি নাহিদুলকে বাজে ট্যাকল করে লালকার্ড দেখেন বাহরাইনের ফরোয়ার্ড আনোয়ার আলী। বাকি সময় ১০ জনের দলকেও আর গোল দিতে পারেনি বাংলাদেশ যুবারা। শেষ মিনিটে অবশ্য বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ফ্রি কিকে গোলের চেষ্টা করেন সিফাত। কিন্তু বল চলে যায় বাইরে। এর আগে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় দল জয় নিয়ে তাদের মিশন শুরু করে। শ্রীলঙ্কাকে ৪-২ গোলে হারায় মামুনুল ইসলামের বাংলাদেশ। বড়দের পিছে হাটতে গিয়েও হোঁচট খেয়ে থমকে গেলো ছোটরা।