যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: কিছুটা সৌন্দর্য্য নষ্ট হওয়া ছাড়া আর অন্য কোনো কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে মেট্রোরেল রুটের বিরোধিতাকে যৌক্তিক বলে করেন না বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, মেট্রোরেলের শব্দের মাত্রাকে সহনীয় করার বিশেষ প্রযুক্তি থাকায় এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কার্জন হলের সৌন্দর্য্য কিছুটা ঢাকা পড়লেও বৃহত্তর স্বার্থে মেট্রোরেল নির্মাণে বাধা দিয়ে প্রকল্পকে দীর্ঘসূত্রতায় না ফেলার অনুরোধ তাদের।
ঢাকা শহরের যানজট কমানো ও চলাচলে গতি আনতে যখন বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের ডিটেইল ডিজাইনের কাজ শুরুর অপেক্ষা, ঠিক সেই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ও শিক্ষার্থী মানববন্ধন করে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। শাহবাগ, টিএসসি, বাংলা একাডেমি, দোয়েল চত্বরর, কার্জন হল হয়ে যে রুট তার পরিবর্তনের দাবি তাদের।
প্রতিবাদী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ পথে মেট্রোরেল হলে শব্দ দূষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা ও গবেষণার নিরবচ্ছিন পরিবেশ নষ্ট হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা রাখলে এই প্রকল্পটির কারণে খুব বেশি সমস্যা হবে না। এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়েরর উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকরা বরং এখান থেকে লাভবান হবেন কারণ তাদের খুব কাছেই যে ষ্টেশন।
‘আমি এটাতে খুব আপত্তির কিছু দেখি না কারণ এটা বিদ্যুতের সাহায্য চলবে। শব্দ দূষণ এখন রাস্তায় গাড়ি ঘোড়া যা আছে তার চেয়ে বেশি হবে বলে আমার মনে হয় না। আর যদি হয়ও কমানোর জন্য যন্ত্র আছে,’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে, বুয়েটের সাবেক এ অধ্যাপক মনে করেন মেট্রোরেল হলে কার্জন হল ও রাজু ভাস্কর্যের সৌন্দর্য্য কিছুটা ঢাকা পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞ জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, যেটা হতে পারে সেটা কার্জন হল আমাদের হেরিটেজ বিল্ডিং এটার সৌন্দর্য্য হয়তো দেখা যাবে না। রেল লাইন থেকে ক্লাসরুম দূরে থাকার কারণে কোনো সমস্যা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ যারা আন্দোলন করছে তাদের দাবিগুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে কাজ শুরু করলে জনকল্যাণমূলক মেগা এ প্রকল্প বাস্তবায়ন সহজ হবে।