যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: আগামী ২০ জানুয়ারি ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। ২০ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় গুলশান-২ নম্বর থেকে কর্মসূচির যাত্রা করবে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে মশাল মিছিল পূর্ববর্তী এক সমাবেশে এ ঘোষণা দেন তিনি।
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে ঢাকা থেকে পাকিস্তানি কূটনীতিক ফারিনা আরশাদকে প্রত্যাহারের জের ধরে সম্প্রতি ইসলামাবাদ থেকে বাংলাদেশের কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে ফিরিয়ে নিতে বলে পাকিস্তান। ফারিনা আরশাদকে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ যেমন পাকিস্তানকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বলেছিল, তেমনি মৌসুমী রহমানকে ফিরিয়ে নিতে ঢাকাকে মৌখিকভাবে বলে ইসলামাবাদ। ইমরান বলেন, যদি সরকার এর মধ্যে পাকিস্তানের এমন অন্যায় আচরণের উচিত জবাব দেয় তাহলে এ কর্মসূচি বাতিল করা হবে। অন্যথায় গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা বাধা আসলেও এ কর্মসূচি পালন করবে।
তিনি বলেন, উপমহাদেশের জঙ্গিবাদের হেডকোয়ার্টার ইসলামাবাদ। বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের আস্তানা ঢাকাস্থ পাকিস্তান দূতাবাস। এটি বর্তমানে দূতাবাস নয় জঙ্গিবাদ হয়ে গেছে। তিনি খুব শিগগিরই পাকিস্তানের সঙ্গে সব কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তখন জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান তাদের দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের কূটনীতিককে প্রত্যাহার করতে বলার বিষয়টি দুই দেশের সম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়। কারণ কেন বাংলাদেশের কূটনীতিককে প্রত্যাহার করতে হবে, তা ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকের (দক্ষিণ এশিয়া ও সার্ক) কাছে জানতে চেয়েছিলেন। পাকিস্তান কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মৌসুমী রহমানকে সরকার ঢাকায় ফিরিয়ে না এনে পর্তুগালের দূতাবাসে বদলি করে।