যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সেবিকা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন মালামাল চুরি করে পিকআপ ভর্তি করে পালানোর সময় দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় চুরি কাজে বাধা দিতে গেলে তাদের হামলায় ৬ প্রশিক্ষণার্থী আহত হন। উদ্ধার করা হয়েছে একটি পিকআপসহ চুরি করা মালামাল। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা হয়েছে। আটক দুই কর্মচারী হলো নড়াইল সদর উপজেলার সীতারামপুর গ্রামের শশধর বিশ্বাসের ছেলে আশিষ কুমার বিশ্বাস এবং যশোর সদরের মণ্ডলগাতি উত্তরপাড়ার আব্দুল হাকিমের ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিক। তারা ওই সেবিকা কেন্দ্রের এলএমএসএস।
সেবিকা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইন্সট্রাক্টর সেলিনা ইয়াসমিন পুষ্পা থানায় দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ওই দুই কর্মচারী সেবিকা কেন্দ্রে ঢুকে ২৫টি সিলিং ফ্যান, ৮টি লোহার পাইপ, একটি টিউবওয়েল, ৩টি অ্যালুমিনিয়ামের হাড়ি, একটি কলসি, একটি লোহার তাউয়া, একটি সাইক্লোস্টাইল মেশিন, একটি ডিসকভার ব্রান্ডের মোটরসাইকেল (যশোর-ল-১১-২৪১৬) একটি পিকআপে (ঢাকামেট্রো-ন-১১-১১২৫) উঠায়। সেমসময় ওই কেন্দ্রে থাকা প্রশিক্ষণার্থীরা টের পেলে চিৎকার চেঁচামেচি করে। তখন ওই দুই কর্মচারী তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে প্রশিক্ষণার্থী নাজনীন, সাহানা, তানজিরা, রাবনী, সুমাইয়া এবং রিপা জখম হয়। এদের মধ্যে সাহানাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের আটক করে পুলিশে দেয়। এ সময় সেখান থেকে পিকআপভর্তি মালামাল উদ্ধার করা হয়। তবে উদ্ধার করা মোটরসাইকেলটি আসামি আশিষের। বিক্ষুব্ধ প্রশিক্ষণার্থীরা তার মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করে।
কোতয়ালী থানার এসআই এসএম শামিম জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে ওই দুইজনের বিরুদ্ধে যাতে মামলা না হয় সে জন্য কয়েকজন তদবির করতে থাকে। যে কারণে সকালে মামলা না হয়ে সন্ধ্যার দিকে হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে নার্সিং ইনস্টিটিউটের কারো কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি-না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে বলে তিনি জানান।