যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: শিশুটির বয়স কতোইবা হবে? বড়জোর দেড় থেকে দু’বছর। আব্বা, মা বুলি ফুটেছে কেবল। মায়ের কোল ছাড়া কিছুই বোঝে না সে। গতকাল যশোর শহরের ডিসির বাংলোর সামনে (ভাষা শহীদ আফসার আলী সড়ক) দিয়ে মায়ের কোলে চড়েই যাচ্ছিলো শিশুটি। হঠাৎ ঘটে দুর্ঘটনা। একটি গাড়ি ধাক্কা দেয় শিশুটি মায়ের গায়ে। শিশুটি ছটকে পড়ে দুরে। গুরুতর মাথায় আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শিশুটির মা। অলৌলিক ভাবে শিশুটি অক্ষত থাকে। হামাগুড়ি দিয়ে শিশুটি মায়ের কাছে এসে কান্নাকাটি করে। মায়ের মাথা থেকে অনবরত রক্তক্ষরণ দেখে শিশুটির কান্না বাড়লেও সাহায্যের জন্যে কেউ এগিয়ে আসেনি। যশোরে প্রয়োজনীয় কাজে আসা ঢাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি রিক্সা যোগে ওই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। অজ্ঞাত মহিলার মাথার রক্তক্ষরণ ও শিশুটির কান্না দেখে মায়া জাগে তার। অচেতন হওয়া মা ও কান্নারত শিশুটিকে উদ্ধার করে তিনি যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসার জন্যে ৫শ’ টাকাও ব্যয় করেন। মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে অচেতন মায়ের চিকিৎসা চলছে। শিশুটির কান্না কোন ভাবেই থামছে না। তাকে তো আর বোঝানো সম্ভব নয় তার মা অসুস্থ। অবুঝ শিশুটি তাই বারবার অচেতন মায়ের বুকে মাথা ঠুকে চিৎকার করছে। গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত ওই মহিলার জ্ঞান ফেরেনি। শিশুটির দেখভাল করছেন ওয়ার্ডে দায়িত্বরত স্বাস্থ্যসেবী ও অন্য রোগীর স্বজনরা।

অচেতন মায়ের সাথে হাসপাতালে ঠাঁই পাওয়া শিশুটিকে দেখবে কে?
1689 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা