খাদ্য ডেস্ক: শরীরের প্রত্যকটি অঙ্গের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। তেমনই চোখের গুরুত্বকে আলাদা করে বিশ্লেষণের প্রয়োজন নেই। চোখ না থাকলে গোটা পৃথিবীই আমাদের কাছে অন্ধকার হয়ে যাবে। এহেন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে ঠিক রাখতে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আর চোখের দৃষ্টি বাড়াতে নানা ঘরোয়া টোটকা অবলম্বন করা যেতে পারে। ষাট বছর বয়সের পরে নানা কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে আসে।
এছাড়া ধূমপান, নিম্নমানের ডায়েট, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, পারিবারিক ইতিহাস, বয়স ইত্যাদি কারণে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে আসে। তবে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা মেনে চললে আপনার চোখ সুরক্ষিত থাকবে, ক্ষতি কম হবে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর থাকবে। কী কী সেই টোটকা তা দেখে নিন নিচের লেখায়-
লুটিন ও জিঅ্যাক্সথিন
পালং শাক, ব্রকোলির মতো শাক-সবজিতে লুটিন ও জিঅ্যাক্সথিনের মতো পুষ্টিকর উপাদান থাকে যা চোখকে ভালো রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। বেশি বয়সে চোখ ভালো রাখতে এটি বিশেষ সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস
ফল ও শাক-সবজিতে মজুত অ্যান্টি অক্সিডেন্টস দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। চোখের খারাপ হওয়া আটকানো ছাড়াও শরীরের কোশগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করাও এর প্রধান কাজ।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
তেল বেশি থাকা মাছে অর্থাৎ সাধারণত বড় মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মজুত থাকে। এছাড়া ছোট চুনো মাছও দৃষ্টিশক্তিকে বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
সেলেনিয়াম
যেসব খাবারে সেলেনিয়াম নামক খনিজ উপাদান রয়েছে তা চোখের জন্য বিশেষ ভালো। ছানি পড়া আটকাতে বা চোখে কোনও ধরনের সংক্রমণ আটকাতে এটি বিশেষ সাহায্য করে। লবস্টার, নানা ধরনের মাছ, ডিম, হ্যাম, বিফ, চিকেন, ল্যাম্ব, বাদাম, ব্রাউন রাইস, রসুন, ব্রকোলি, গম, লাল আঙুর ইত্যাদিতে এটি পাওয়া যায়।
টওরিন
টওরিন এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড যা চোখকে সঠিকভাবে কাজ করাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে সি ফুড ও মাংসে এটি বেশি করে পাওয়া যায়।
ভিটামিন বি২
অন্য পুষ্টিগুণের পাশাপাশি ভিটামিন বি২-ও স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তির জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয়। অ্যামন্ড, দুধ, দই, ডিম, পালং শাক, ব্রকোলি ইত্যাদিতে এই ভিটামিন প্রচুর পরিমাণে থাকে যা চোখের প্রখর দৃষ্টিশক্তি ধরে রাখে।
1800 মোট পাঠক সংখ্যা 3 আজকের পাঠক সংখ্যা