যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: বৈশ্বিক দুর্নীতি সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। একই সঙ্গে আর্থিক খাতের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিষয়ে টিআইবির অভিযোগ মেনে নিয়েছেন তিনি। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে টিআইবির প্রতিবেদনের বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘(দুর্নীতিতে) কোনো ইমপ্রুভমেন্ট হয়নি বলে আমার ধারণা। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি কথাও বলতে চাই না। দুর্নীতির ব্যাপারটাতে আমরা টাচ-ই করতে পারি নাই।’
দুর্নীতি কমাতে ডিজিটালাইজেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘তবে আমাদের পদক্ষেপ আছে। আমার ইনিশিয়েটিভ কন্টিনিউয়িং ডিজিটালাইজেশন।’ এ সময় তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘সিলেটের মদন মোহন কলেজ ডিজিটালাইজেশন হওয়ায় আয়ের পরিমাণ ৮ লাখ টাকা থেকে ৮২ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।’ ‘আর্থিক খাতের কারণে দুর্নীতির সূচকে ইতিবাচক অগ্রগতি নেই’ বলে টিআইবির পর্যবেক্ষণের বিষয়ে মুহিত বলেন, ‘হ্যাঁ, সেটা হতে পারে’। তবে তিনি এটাও বলেন যে, ‘হলমার্কসহ বিভিন্ন ঘটনায় সরকার কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তা-ও বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর্থিক খাতের কয়েকটি কেলেঙ্কারির কারণে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের পর্যায়ের কাউকে এর আগে আইনের আওতায় আনা হয়নি। একটি ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের দুর্নীতির মাত্রা প্রকাশ করে। বুধবার সকালে প্রকাশিত তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ বিশ্বের ১৬৮টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। এর আগের বছর ২০১৪ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪তম।