যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিকদের পক্ষ থেকে দাবি ওঠার পর অবশেষে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারের তেলের দর বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশের বাজারদর, দাম না কমানোয় সরকারের মুনাফা ও সম্ভাব্য নতুন মূল্যের একটি প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ওই প্রস্তাব পর্যালোচনা করে জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করবে সরকার।
প্রস্তাবে অকটেন, পেট্রল, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কতটা কমানোর কথা বলা হয়েছে, সে সম্পর্কে জানতে চাইলে নসরুল হামিদ তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে গত অর্থবছর জ্বালানি তেলে পাঁচ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা এবং চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) এ খাত থেকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বিপিসি মুনাফা করেছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১২২ ডলার হয়। তখন বাংলাদেশে তেলের দাম বাড়িয়ে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রল ৯৬ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তারপর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর কমছে। এখন ব্যারেলপ্রতি দর ৩০ ডলারেরও নিচে। আগামী দিনগুলোতে জ্বালানি তেলের দর ২০ ডলারে নেমে আসার পূর্বাভাস দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষকরা। কিন্তু বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছে না, পাচ্ছে শুধু সরকার।