কওমি মাদ্রাসা নিয়ে সংসদে বিতর্ক

যশোর এক্সপ্রেস ডেস্কজঙ্গি কর্মকাণ্ডে কিছু কওমি মাদ্রাসাকে দায়ী করে জাতীয় সংসদে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্কে জড়ালেন সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে সম্পূরক প্রশ্নে ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম এ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করলে বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
হাজী মো. সেলিম বলেন, কিছু কওমি মাদ্রাসার কর্মকাণ্ডের জন্য সরকারের বদনাম হচ্ছে। অনেক জায়গায় নতুন মাদ্রাসা হচ্ছে, এ ব্যাপারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে কি? কওমি মাদ্রাসাগুলো সরকারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না?

এ সময় সংসদ অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য একটি স্পর্শকাতর (সেনসেটিভ) প্রশ্নের উত্তর দিতে বলেছেন। এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া অত্যন্ত দুরহ। চিন্তা-ভাবনা করে উত্তর দিতে হয়। আসলে সরকার কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। এ জন্য একটি বোর্ড বা কমিটিও করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আমি যতদূর জানি ফরিদ উদ্দিন মাসুদ, হেফাজতে ইসলামের মাওলানা সফী সাহেবও সেই কমিটিতে আছেন। মাদ্রাসা সিলেবাস কীভাবে আধুনিকায়ন করা যায়, সে ব্যাপারে তারা চিন্তা-ভাবনা করছেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার সবগুলো জঙ্গি তৈরি কারখানা এটা আমি বলব না। কিন্তু কিছু কিছু মাদ্রাসায় জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শুধু মাদ্রাসা কেন, ইংরেজি মাধ্যমের অনেক ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যেও জঙ্গি রয়েছে।’খাদ্যমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, মাদ্রাসার সংখ্যা বাড়ছে কিনা, কীভাবে এগুলো পরিচালিত হচ্ছে বা লেখাপড়াই কী হচ্ছে- এসব বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের দৃষ্টি রাখা উচিত। অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের সন্তানরা মাদ্রাসায় পড়ুক বা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ুক, তারা কোন পথে যাচ্ছে, তার নজর রাখা উচিত। সবার সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে জঙ্গি সমস্যার সমাধান করতে পারব।’ জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘ঢালাওভাবে কওমি মাদ্রাসার ওপর দোষ দেওয়া ঠিক না।’

Print
1455 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা

About admin

Close