এক্সপ্রেস ডেস্ক: নড়াইল সদর উপজেলার আগদিয়া-শিমুলিয়া জামেয়াতুস সুন্নাহ মোহাম্মাদিয়া কওমি মাদ্রাসায় রাতের খাবারে বিষক্রিয়ায় তিন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ২০ জন। অসুস্থদের নড়াইল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মৃতরা হলো মাদ্রাসার জামায়াত বিভাগের ছাত্র ও নড়াইল সদর উপজেলার নড়াইলের বড়গাতি গ্রামের জব্বার হোসেনের ছেলে ইমামুল হক (১৬), উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের পাঁচুরিয়া গ্রামের মোরাদ শেখের ছেলে ও ক্বেরাত বিভাগের ছাত্র সদর আলিফ (৯) এবং শোভারঘোপ গ্রামের আফছার শেখের ছেলে মো. আশরাফুল (১৬)।
মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষক ক্বারী মো. হাবিবুল্লাহ জানান, বুধবার (২৭ জুলাই) মাদ্রাসার ছাত্ররা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইমামুল হক (১৬) নামে এক ছাত্র প্রথমে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বমি করতে থাকে। একটি ভ্যানে করে দ্রুত তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যৃ হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্য ছাত্ররা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাকালে আলিফ (৯) নামে আরেক ছাত্রের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া খুলনায় নেওয়ার পথে আশরাফুল (১৬) নামে আরও একজন মারা যায়। গুরুতর অসুস্থ ভদ্রবিলা ইউনিয়নের পাঁচুরিয়া গ্রামের মুজিবর মোল্লার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৮), হামিদুর রহমানের ছেলে সেজান (১২), বাহিরগ্রামের মনিরুল বিশ্বাসের ছেলে ইসমাইল বিশ্বাস (১৩), মফিজুর রহমানের ছেলে মনিরুল (১২), সিঙ্গা গ্রামের ইউনুছ মোল্লার ছেলে সাইদুল (১৩), শুভারঘোপের মশিয়ার মোল্লার ছেলে মুস্তাকিন (১৫), কুদ্দুস শেখের ছেলে ওসমান (১১), দিলু সিকদারের ছেলে রেজওয়ান (১০) ও নিরালী গ্রামের লিটু মিয়ার ছেলে আব্দুর রবকে (৮) নড়াইল সদর হাপসাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা সবাই ওই মাদ্রাসার বিভিন্ন বিভাগে পড়াশোনা করে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অনিক সাহা জানান, অসুস্থদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।