যশোরে আ.লীগের ইউপি চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ডে দলীয় নেতা জড়িত

এক্সপ্রেস ডেস্ক: যশোর সদর উপজেলার ইছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন হত্যার পরিকল্পনাকারী একই দলের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন। হত্যা মামলায় গ্রেফতার তিন আসামি আদালতে এই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন নিহত মোশারেফের ভাই আতিয়ার রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, মোশারেফ হত্যার পরিকল্পনাকারী ও অর্থ যোগানদাতা চিহ্নিত হলেও পুলিশ এখনও তাকে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে গ্রেফতার করেনি।

সে কারণে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে দাবি করে বলা হয়, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন নিহত মোশারেফের ভাই আতিয়ার রহমান। অন্যদের মধ্যে মোশারেফের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, মাজহারুল ইসলাম, মোখলেসুর রহমান, জলিল সরদার, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার বাসা থেকে মোটরসাইকেলে ইছালী ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার পথে যশোর-মাগুরা মহাসড়কে সিনজেন্টা ডিপোর কাছে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মোশারেফ হোসেন। হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মোশারেফের ভাই আতিয়ার রহমান কোতোয়ালী থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান বলেন, মামলাটির দায়িত্ব সিআইডি পাওয়ার পর তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আটক আসামিদের মধ্যে সদর উপজেলার সালিয়াট গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে ইমলাক, বাহাদুরপুরের রফিকুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদুর এবং তালবাড়িয়ার আবু মুছার ছেলে হজরত আদালতে মোশারেফ হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যে মোশারেফ হত্যার পরিকল্পনাকারী ও অর্থ যোগানদাতা হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা আফজালের নাম এসেছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমি কোনও খুন-টুনের সঙ্গে নেই। বরং নিহত মোশারেফ আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।’

Print
1505 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা

About jexpress

Close