যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ব বৃহৎ উৎসব মধুমেলা বৃহস্পতিবার রাতে সমাপ্ত হয়েছে। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় যশোর জেলা প্রসাশনের আয়োজনে কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ী গত ২২ জানুয়ারি মধুমেলা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানে দুইজন গবেষককে ২০১৬ সালের মহাকবি মধুসূদন পদক প্রদান করা হয়। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। প্রধান অতিথি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মনজুর রহমান ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিাটউটের পরিচালক কাবেদুল ইসলামের হাতে মহাকবি মধুসূদন পদক তুলে দেন।
‘প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা কাব্য : শব্দের বিবর্তন-বৈচিত্র্য’ গবেষণা গ্রন্থের জন্য অধ্যাপক ড. মনজুর রহমান ও রবীন্দ্র ছোটগল্পে জমিদারি প্রসঙ্গ-অনুষঙ্গ গ্রন্থে গবেষণাধর্মী সাহিত্যকর্মেরর জন্য কাবেদুল ইসলাম ওই পদক পেয়েছেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা সরকারি বিএল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। আরও বক্তব্য রাখেন যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাবিনা ইয়াসমিন, কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ রায়হান কবির প্রমুখ। ওই অনুষ্ঠানে মধুসূদন জন্মোৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি ও যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। প্রতিদিন সকাল থেকে অধিক রাত পর্যন্ত হাজার হাজার নারী পুরুষ শিশু মেলার মাঠে মধুমঞ্চে মন্ত্রী, এমপি ও দেশ বরেণ্য কবি সাহিত্যিকদের আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ যাত্রা, সার্কাস, যাদু প্রদর্শনী দেখে এবং ট্রেন ও নাগরদোলায় চড়ে সময় কাটিয়েছেন। এবারের মেলায় প্রতিটি স্টলেই আগত মধুপ্রেমী দর্শনার্থীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়।