যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আত্মসমর্পণ করে নয়টি মামলায় জামিনের আবেদন করেন তিনি। পরে আদালত তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মুরাদ হোসেন বলেন, এ্যানিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নাশকতা, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগসহ শহীদ উদ্দীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল ও সূত্রাপুর থানায় নয়টি মামলা করা হয়। ২০১৩ সালে সূত্রাপুর থানায় ও ২০১৫ সালে পল্টন এবং মতিঝিল থানায় এই মামলাগুলো হয়।
এ্যানির আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, এ্যানির জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে পল্টন, মতিঝিল ও সূত্রাপুর থানায় দায়ের করা ৯টি মামলায় জামিন চান বিএনপির এই নেতা। এ্যানির আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ জানান, মামলা ৯টির মধ্যে পল্টন থানার ৭টি, মতিঝিল থানার ১টি এবং সূত্রাপুর থানার একটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পল্টন থানার একটি মামলায় চার্জশিট দাখিল হয়েছে এবং অপর মামলাগুলো তদন্তাধীন। তদন্তাধীন মামলাগুলোর মধ্যে সূত্রাপুর থানার মামলাটি হত্যা মামলা। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, খোরশেদ আলম, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট সালমা হাই টুনি এবং তাছলিমা ইয়াসমিন দিপা জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন। বিএনপির ডাকে অবরোধে গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগের ঘটনায় পল্টন এবং মতিঝিল থানার মামলাগুলো ২০১৫ সালে দায়ের করা হয়। সূত্রাপুর থানার মামলাটি ২০১৩ সালে দায়ের করা হয়।