যশোর এক্সপ্রেস ডেস্ক: তুমি আসবে বলেই প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে বাংলা একাডেমিসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। অপেক্ষা করছে লাখো পাঠক, হয়তো বা আরো অধিক। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেবে বলে ব্যাকুল তাদের মন। মেলার আশায় চাতকের মতো সারা বছর চেয়ে থাকা প্রকাশকরা আরো অস্থির। হ্যাঁ সবার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙতে বছর ঘুরে আবার এসে উপস্থিত হয়েছে প্রাণের গ্রন্থমেলা। রাত শেষ হলেই নতুন বইয়ে মাতবে সবাই। নতুন কাগজ আর ছাপা কালির গন্ধে মৌ মৌ করবে একাডেমি প্রাঙ্গণ। বটতলায়, রঙ বেরঙের বইয়ের হবে মোড়ক উন্মোচন, পাঠকের প্রাণখোলা সমাগম।
গ্রন্থমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির হীরকজয়ন্তী উপলক্ষে এবারের মেলার মূল থিম নির্বাচিত হয়েছে ‘বাংলা একাডেমির হীরকজয়ন্তী’। এখন জেনে নেয়া যাক দীর্ঘ প্রতিক্ষীত একুশে বইমেলার প্রথম দিনের অনুষ্ঠানমালা :
এদিন বিকেল ৩টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে তিনি গ্রন্থমেলা পরিদর্শন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম আক্তারী মমতাজ। স্বাগত ভাষণ দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত থাকবেন- ব্রিটিশ কবি ও জীবনানন্দ অনুবাদক জো উইন্টার, চেক প্রজাতন্ত্রের লেখক-গবেষক রিবেক মার্টিন, আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সমিতির (আইপিএ) সভাপতি রিচার্ড ডেনিস পল শার্কিন ও সাধারণ সম্পাদক জোসেফ ফেলিক্স বুরঘিনো।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করবেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং নজরুলসংগীত পরিবেশন করবেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পৌত্রী অনিন্দিতা কাজী। শুধু তাই নয়, গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৫ পুরস্কৃতদের হাতে তুলে দেবেন। এছাড়া, সৈয়দ শামসুল হক রচিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধুর বীরগাঁথা’ বইয়ের ব্রেইল ও অডিও সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর হাতে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত আধুনিক বাংলা অভিধান তুলে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান।
এছাড়াও অমর একুশে গ্রন্থমেলা এবং বাংলা একাডেমির হীরকজয়ন্তী উপলক্ষে ৩ ফেব্রুয়ারি দুটি অধিবেশনে, একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তন এবং মেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব। এতে বাংলা ও বিশ্বকবিতা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি স্লোভাকিয়া, মরক্কো, সুইডেন, তাইওয়ান, যুক্তরাজ্য, ভারত এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রজন্মের কবিরা কবিতা পাঠ করবেন।