আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের মানব পাচার বিরোধী সংস্থা ‘অ্যান্টি হিউমেন ট্রাফিকিং সেল’ (এএইচটিএইচ) দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে ‘বিদেশি অনুপ্রবেশ’ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে মোট ৪০ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে। রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। ২০১৩ সাল থেকে ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রদেশের শহর থানের পাশ্ববর্তী বিবান্দি, কল্যাণ, দোম্বিভালি, এবং মুম্বারাতে এসব গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নারী ও শিশুসহ অনেক বাংলাদেশি ভারতে শ্রমিক, পানশালার নর্তকী এমনকি পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত বলে জানিয়েছে দেশটির গোয়েন্দারা।
এএইচটিএইচের জ্যেষ্ঠ পরিদর্শক শাকিল শেখ জানান, থানে শহরের আশপাশের এলাকায় অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশের ব্যাপারটি সব সময়ই তদারকি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যেহেতু অভিবাসীরা অল্প দামে শ্রম দিতে চায় তাই তাদের নিয়োগের ব্যাপারে নিয়োগকর্তারা কিছু মনে করেন না। তারা সব সময় গ্রেপ্তারঝুঁকিতে থাকার কারণে ঝামেলামুক্ত পরিবেশে কাজ চায়। আর এ কারণে আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে অনেকে তাদের নিয়োগ দিয়ে থাকে।’ আশ্চর্যজনকভাবে অবৈধ অভিবাসীদের ধরার জন্য যখন অভিযান চালানো হয় তখন তাদের কাছে ভোটার আইডি কার্ড, রেশন কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র এমনকি কর প্রদানপত্র পর্যন্ত পাওয়া যায় বলেও জানান শাকিল শেখ। অনেক বাংলাদেশির কাছে জাল ভারতীয় মুদ্রাও পাওয়া যায়। অপর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশিরা খুবই একগুয়ে। অনেককেই সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কলকাতায় নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে পৌঁছে দেয়া সত্ত্বেও তারা আবার ভারতে ফিরে যায়।