এক্সপ্রেস ডেস্ক: প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের আলোকে যশোরের গাড়িখানায় পুলিশ ক্লাবের সম্পত্তি দাবি করে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করলেও দীর্ঘদিন ভোগদখলে থাকা দোকানীরা বলছেন পুলিশ যথেচ্ছা করেছে। এটা জেলা প্রশাসনের জমি, কোনো ধরনের আইনি প্রক্রিয়া না মেনে গায়ের জোরে পুলিশ উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অপরদিকে পুলিশ বলছে বার বার নোটিশ দেয়ার পর সরকারি বিধি মেনেই দখলমুক্ত করা হয়েছে। আর এখন অনৈতিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। এদিকে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ী ও পরিবারের পক্ষে গতকাল পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। অপরদিকে বিরোধীয় ওই সম্পত্তি অর্থাৎ ট্রাফিক অফিসের সামনে একটি চক্র বোমাবাজি করেছে বলে ট্রাফিক বিভাগ মামলা করেছে। উচ্ছেদ হওয়া কয়েক ব্যবসায়ীর পক্ষের লোকজনকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে পুলিশ। গোটা বিষয়টি নিয়ে যশোর শহরে নানামুখি বক্তব্য চাউর হচ্ছে। কেউ বলছেন পুলিশ এতদিন কোথায় ছিল ? আবার কেউ বলছেন শহরের প্রাণকেন্দ্রে ওইসব ব্যক্তি কিভাবে অবৈধভাবে পুলিশ ক্লাবের সম্পত্তি দখল করেছিল। আর এর নেপথ্যেই বা কারা ছিল?
গত ৫ ফেব্রুয়ারি যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র গাড়িখানা রোডের পুলিশ ক্লাবের সম্পত্তি থেকে দখলদার উচ্ছেদ করে পুলিশ। এরপর সেখানে পুলিশ ক্লাবের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়া হয়। ওইদিন যশোর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর নুরুল আলম সিদ্দিকী জানান, তাদের যে জমি থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে সেখানে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ৮/১০টি দোকান ঘর তৈরি করে ব্যবসায়ীদের ভাড়া দিত। কাকন নামে এক ব্যক্তি পুলিশের সম্পত্তি দখল করে সেখানে আস্তানা তৈরি করে। এ ঘটনার পর পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান দখলদারদের জমি খালি করার নির্দেশ দেন। একইসাথে ওই সম্পত্তি উদ্ধার করে পুলিশিং কমিটির অফিস তৈরির ঘোষণা দেন। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ করা জায়গায় পুলিশ প্রাচীর দিয়ে প্রহরা বসিয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে ট্রাফিক অফিস অর্থাৎ অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা জায়গার সামনেই বোমাবাজি হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। ট্রাফিক বিভাগ এ ঘটনায় ১১ ফেব্রুয়ারি দশ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দিয়েছে। আসামিরা হচ্ছে গাড়িখানার হারুন অররশিদের ছেলে সনি, সেলিম রেজার ছেলে সম্রাট, নুরুল ইসলামের ছেলে রাহাত, বাবর আলীর ছেলে মাসুম, মহসীন আলীর ছেলে মাসুম, যশোর ঘোপের আলী রেজা রাজুর বাড়ির সামনের আবু বক্করের ছেলে আসাদুজ্জামান শিবলু, শংকরপুরের শফিকুল ইসলামের ছেলে সোহেল। তারা ট্রাফিক অফিসের সামনে বোমবাজি করেছে বলে পুলিশের দাবি। এঘটনায় ঘোপের বিনয় কৃষ্ণ মল্লিকের ছেলে সবুজ ও বিরামপুরের জগন্নাথ চৌধুরীর ছেলে গোপাল নাথ চৌধুরী ও বিশ্বনাথ চৌধুরী জড়িত থাকতে পারে বলে ট্রাফিক পুলিশের দাবি।