এক্সপ্রেস ডেস্ক: ২০১৬-১৭ সালের প্রস্তাবিত বাজেটকে দুনীর্তিবাজ ও কালোটাকার মালিকদের বাজেট বলে মন্তব্য করেছে গণতান্ত্রিক বামমোর্চা। রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘করবৃদ্ধি, লুটপাট-অপচয় ও ধনিক স্বার্থের বাজেট মানি না, রোজার অজুহাতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিরোধ কর’ শীর্ষক গণতান্ত্রিক বামমোর্চা আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এ মন্তব্য করেন। তারা বলেন, বাজেট ঘোষণার পর থেকে সারা দেশে চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজেটে শতকরা ৮০ জনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে শতকরা ২০ জনের বিলাসজাত দ্রব্যের দাম কমোনো হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটকে জনগণের বিপক্ষের বাজেট, গরীব মারার বাজেট আখ্যা দিয়ে তারা আরো বলেন, বাজেট ঘোষণার দিন থেকে আমাদের মোবাইল ফোন থেকে বাড়তি শতকরা ২১ টাকা করে কাটা হচ্ছে।
আগে ছোট চুরি হতো এখন বড় বড় চুরি হচ্ছে, তাই বাজেটের পরিমানও বড় হচ্ছে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, এ বড় বাজেটের টাকাও আসবে সাধারণ মানুষের পকেট থেকেই। ব্যাংক থেকে যারা লুট করছে তাদের শাস্তি না দিয়ে, সে টাকা উদ্ধার না করে সরকার জনগণের উপর করের বোঝা বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। অর্থমন্ত্রী কালো টাকা সাদা করার কথা বলেছেন উল্লেখ করে বামমোর্চার নেতারা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা যে অবৈধ টাকা আয় করছেন সেগুলোর লাইসেন্স দেয়ার জন্যই অর্থমন্ত্রী এ ধরনে ঘোষণা দিয়েছেন। এসময় বক্তারা এ বাজেটের বিরুদ্ধে বামমোর্চার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়ে জনগণকে এ আন্দোলনে শরীক হওয়ার আহ্বান জানান।
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নেতা অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা শহীদুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভূঁইয়া প্রমুখ।
– See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/76032#sthash.r0wN46PL.dpuf