এক্সপ্রেস ডেস্ক: আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২২ জুন সকাল আটটা থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। বুধবার দুপুরে রেলভবনে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান। রেলমন্ত্রী বলেন, ঈদে ঘরেফেরা যাত্রীদের সুবিধার্তে এবার অগ্রিম টিকেট বিক্রি হবে ভ্রমণের ১০ দিন আগে থেকে। ২২ জুন বিক্রি হবে ১ জুলাইয়ের টিকেট। এরপর ২৩, ২৩, ২৫, ২৬ জুন বিক্রি হবে ২, ৩, ৪, ৫ জুলাইয়ের টিকেট। এছাড়াও ফিরতি ৮ জুলাইয়ের টিকেট বিক্রি হবে ৪ জুলাই থেকে। এরপর ৫ জুলাই বিক্রি হবে ৯ জুলাইয়ের টিকেট। ৭ জুলাই বিক্রি হবে ১০ ও ১১ জুলাইয়ের টিকেট। ৮ জুলাই বিক্রি হবে ১২ জুলাইয়ের টিকেট। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হবে না বলে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, আমাদের এবারের লক্ষ্য হলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরাপদে ঘরমুখো যাত্রী নিরাপদে পৌঁছানো। রেলেওয়ের কোনো কর্মকর্তার কারণে এবারের ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হবে না। তবে কোনো কারণে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হলে তা মোকাবেলা করতে বিকল্প কোচ ও ইঞ্জিনের ব্যবস্থা রাখা হবে। মুজিবুল হক জানান, পবিত্র ঈদে সাতজোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। এ ট্রেনগুলো হলো ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর স্পেশাল-১, চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর স্পেশাল-২, পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুর রুটে পার্বতীপুর স্পেশাল, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে খুলনা স্পোশাল চলবে। ৩ জুলাই থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত। ফিরতি ট্রেন চলবে ৮ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই। এছাড়াও পবিত্র ঈদের জামাত উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে যাবে শোলাকিয়া স্পেশাল-১ ছাড়বে ভৈরব-শোলাকিয়া, শোলাকিয়া স্পেশাল-২ চলবে ময়মনসিংহ-শোলাকিয়া-ময়মনসিংহ রুটে। মন্ত্রী বলেন, এবার ঈদ উপলক্ষে ৮৬২টি কোচ ও ২২৬টি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। তিনি জানান, টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধে কমলাপুরসহ সব স্টেশনে জি আরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র্যাবের সহযোগিতায় টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত রেলের সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন প্রমুখ।

২২ জুন থেকে রেলের আগাম টিকেট
1389 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা