”শুল্কমুক্ত” ১২ টাকায় আমদানিকরা পেঁয়াজ ২৬ টাকা

এক্সপ্রেস ডেস্ক: যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের খুচরা মূল্য বেড়ে আমদানি মূল্যের প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১২ টাকা দরে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে মানভেদে ২৬ টাকা থেকে ২৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে। পাইকারি বাজারে পণ্যটির দর কম থাকলেও খুচরা বাজারে তা বাড়ছেই। পবিত্র রমজানে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য হঠাৎ করে দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তাদের মতে, বাজারের ওপর সরকারের  নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন আমদানিকারকদের কাছ থেকে বেশি দরে কিনতে হচ্ছে বলেই খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি।

বন্দর সূত্র জানায়, রোজা উপলক্ষে দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দর কমাতে সরকার ব্যবসায়ীদের শুল্কমুক্ত পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ দেয়। এতে রোজার এক মাস আগে থেকেই বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির হিড়িক পড়ে। এমনকি, এক সপ্তাহ আগেও বেনাপোল বন্দর এলাকার খোলা বাজারে আমদানি হওয়া ভারতীয় পেঁয়াজ ১২ টাকা কেজিতে সাধারণ মানুষ কিনেছেন।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্র জানায়, আগে ব্যবসায়ীরা প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানিতে সরকারকে ১০ শতাংশ শুল্ককর দিতেন। রোজায় শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেয়ায় চলতি মাস থেকে আমদানির পরিমাণ আগের চেয়ে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এতে মে মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে অন্তত ৩০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এসব পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়ে কেজি প্রতি সাড়ে ১১ থেকে ১২ টাকা। শার্শার বাঁগআচড়া বাজারের সবুজ ভাণ্ডারের মালিক সলেমান বিশ্বাস জানান, তারা প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ কিনছেন ১৪ থেকে ১৫ টাকায়, আর তা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। নাভরণ কাঁচা বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, তারা পেঁয়াজ পান ১৮ থেকে ১৯ টাকা কেজি দরে। এরপর কিছু খরচ আছে। তাই তারা ২২ টাকা করে বিক্রি করছেন। আর যশোর শহরের বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ২৬ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে। বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা অলিয়ার রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত এক মাসে শুল্কমুক্ত সুবিধায় পেঁয়াজ আমদানিকারকদের উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- ঢাকার ব্রাদার্স ইমপেক্স, ব্রাদার্স ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল, রফিকুল ট্রেডার্র্স, খুলনার হামিদ এন্টার প্রাইজ, সাতক্ষীরার ফিরোজ এন্টার প্রাইজ, মুন এন্টার প্রাইজ, বাবা লোকনাথ এন্টার প্রাইজ, রাফসান ফুডস, কে হাসান অ্যান্ড ট্রেডিং, খুশি এন্টার প্রাইজ, আপন ট্রেডার্স, নিশি এন্টার প্রাইজ, আরডি এন্টার প্রাইজ, উজ্জ্বল এন্টার প্রাইজ, নাইম এন্টার প্রাইজ, ফারহা ইন্টারন্যাশনাল, বগুড়ার বিকে ট্রেডার্স, সোনালী ট্রেডার্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তুসি এন্টার প্রাইজ, সাহা উত্তম ট্রেডার্স, ফেনীর জাবেদ এন্টার প্রাইজ, যশোরের নাহার ট্রেডার্স, পিন্টু দত্ত ও জিসান এন্টার প্রাইজ রয়েছে। বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহা আলম মীর জানান, পেঁয়াজে আমদানি শুল্ক না থাকায় বেশি পরিমাণে আমদানি হচ্ছে। চলতি মাসে পেঁয়াজের আমদানি ৫ গুণ বেড়েছে।
Print
3207 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা

About jexpress

Close