‘হুমায়ূনপল্লী’ হলে জায়গাটির মূল্যায়ন হতো: শাওন

এক্সপ্রেস ডেস্ক: নূহাশপল্লীর নাম ‘হুমায়ূনপল্লী’ হলে জায়গাটির মূল্যায়ন যথাযথ হতো বলে মনে করেন প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। যেহেতু প্রিয় লেখক এখানে শান্তিতে ঘুমিয়ে আছেন তাই এর নাম হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হওয়াই উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

মঙ্গলবার ছিল কথাসাহিত্যের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। গাজীপুরের নূহাশপল্লীতে এদিন ভিড় জমিয়েছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রয়াত লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।

হুমায়ূন আহমেদ তার বড়ছেলে নূহাশ আহমেদের নামে নামকরণ করেছিলেন নূহাশপল্লী। মেয়ের বান্ধবী অভিনেত্রী শাওনের সঙ্গে বিয়ের পর প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন আহমেদের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে হুমায়ূন আহমেদের। জীবনের শেষ দিনগুলোতে শাওন ও তার দুই ছেলেই ছিলেন হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে। আগের সংসারের স্ত্রী, তিন মেয়ে ও একমাত্র ছেলের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না।

লেখকের মৃত্যুবার্ষিকীতে হুমায়ূনপত্নী শাওন নূহাশপল্লী সম্পর্কে বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় হুমায়ূন আহমেদ বাদে অন্য কেউ যদি হতেন, বা আমি যদি হতাম তা হলে এই জায়গার নাম দিতাম হুমায়ূনপল্লী, এই নাম হলেই জায়গাটির মূল্যায়ন হতো। কারণ তিনি অনেকভাবেই এই জায়গার সঙ্গে মিশে আছেন। আপনারা এখন এখানে যা দেখছেন, তার প্রতিটি ইঞ্চিতে ওনার ছোঁয়া আছে।’

মঙ্গলবার সকাল নূহাশপল্লীতে কোরআন খতম ও দোয়া চলে। পরে পরিবারের সদস্য ও হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের প্রকাশক ও ভক্তদের নিয়ে কবর জিয়ারত করেন শাওন। তবে হুমায়ূন আহমেদের আগের সংসারের কাউকে এদিন নূহাশপল্লীতে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

Print
2982 মোট পাঠক সংখ্যা 1 আজকের পাঠক সংখ্যা

About jexpress

Close