সরকারি আদেশ অমান্য করে যশোর হাঁস মুরগি খামারের সহকারি পরিচালক এনামুল হক বগুড়ায় চলে গেছেন। প্রধান কার্যালয়ের পরিচালকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে গেছেন বলে অফিস থেকে জানানো হয়েছে।
করোনার মহামারিতে কর্মস্থল ত্যাগ করার অনুমতি না থাকলেও বাইরে কিভাবে অবস্থান করছেন এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, যশোর হাঁস মুরগি খামারের সহকারি পরিচালক এনামুল হক মঙ্গলবার যশোর থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে বগুড়ায় চলে যান। তার গাড়ির ড্রাইভার তাকে নামিয়ে দিয়ে যশোরে চলে এসেছেন।
সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণাললের ২৮ মে উপ-সচিব কাজী সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, মহামারি করোনার জন্য সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত পরিসরে খোলা রাখবে। এসময় কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না।
জানা গেছে, সরকারের আদেশ অমান্য করে সহকারি পরিচালক এনামুল হক মঙ্গলবার ভোরে বগুড়ায় চলে যান। যশোরের সরকারি কোয়ার্টারে বর্তমানে কেউ না থাকায় ঘরটি বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি হাঁস মুরগি খামারে গেলে সহকারি পরিচালক এনামুল হককে পাওয়া যায়নি। তার দায়িত্ব পালনকারী হাঁস মুরগি উন্নয়ন কর্মকর্তা রেফায়েত উল হাসান জানান, সহকারি পরিচালক এনামুল হক ছুটিতে আছেন। তিনি বগুড়ায় আছেন। হেড অফিস থেকে তিনি ছুটি নিয়েছেন বলে তাদেরকে জানানো হয়েছে। ১১ জুন পর্যন্ত তার ছুটি রয়েছে।
ছুটি নিলেও কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না এমন প্রজ্ঞাপনের ব্যাপারে জানতে চাইলে রেফায়েত উল হাসান জানান, প্রজ্ঞাপনের খবর জানি। কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না বলে স্বীকার করেন। তবে, তিনি কিভাবে বগুড়ায় গেছেন তা আমার জানা নেই। সাংবাদিকদের তিনি সহকারি পরিচালকের সাথে কথা বলার জন্য বলেন। কয়েকটি মোবাইল থেকে সহকারি পরিচালক মো. এনামুল হকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কারোর ফোন রিসিভ করেননি।
তবে, যশোর হাঁস মুরগি খামারের কয়েকজন জানান, সহকারি পরিচালক এনামুল হক কোন নিয়ম কানুন মানেন না। তার ইচ্ছামত অফিস চালান। পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলেও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেন না।